“আজ তকের সঙ্গে কোনও কথা বলব না” বুরারি ময়দানে সাংবাদিককে সাফ জানিয়ে দিলেন এক আন্দোলনরত কৃষক। এরপর আর আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া নিতে জোরাজুরি নয়, বরং সম্মান দেখিয়ে দূরে সরে গেলেন সাংবাদিক অনীষা মাথুর। যাওয়ার সময় বলে গেলেন, ‘ঠিক আছে, নিজেদের খেয়াল রাখুন।’
মাস কয়েক আগে হাথরস কাণ্ডে নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন আজ তকের তনুশ্রী পাণ্ডে ও এবিপি নিউজের প্রতীমা মিশ্র। এবার সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় উঠে এলেন আজ তকের আর এক সাংবাদিক, অনীষা মাথুর। ফেক নিউজের যুগে ওই সাংবাদিকের সম্ভ্রমসূচক ব্যবহার ‘এথিক্যাল জার্নালিজম’ এর সেরা উদাহরণ বলে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের পর শেয়ার হচ্ছে ভিডিও ক্লিপ।
গাজিপুর সীমান্ত থেকে বুরারি ময়দান। চলতি কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে নিজের সংবাদমাধ্যমের হয়ে একের পর এক খবর সংগ্রহ করছেন সাংবাদিক অনীষা মাথুর। তবে রিপোর্টকে আকর্ষনীয় করতে অকারণ চেঁচানো বা যেন তেন প্রকারে আন্দোলনকারীদের কথা বলতে বাধ্য করতে চাননি তিনি। কৃষক বিক্ষোভের একের পর এক চিত্র যেমন টিভি চ্যানেলের সামনে তিনি তুলে ধরছেন, তেমনি অযথা সেই রিপোর্টকে ‘সেন্সেশনাল’ করছেন না অনীষা, বলেই মনে করছেন নেটিজেনদের একটি অংশ।
কে এই সাংবাদিক?
সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অনীষা মাথুরের সাংবাদিকতায় আগ্রহ জন্মায় আইন নিয়ে পড়াশোনা করার সময়। অপরাধ, আসামী, আইন এই দুনিয়ায় যে অজস্র অজানা খবর থাকে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। কয়েক বছর ধরে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সহ একাধিক সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। এরপর টাইমস নাও থেকে ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া টুডে চ্যানেলে যোগ দেন অনীষা। আইন সংক্রান্ত রিপোর্টিং করেন তিনি। তবে এবার গাজিপুর সীমানা থেকে বুরারি ময়দান, মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় জড়ো হওয়া কৃষকদের নিয়ে খবর করতে বেরিয়েছেন অনীষা মাথুর।
Comments are closed.