মোদীর শাসনে উচ্চারণ করা যায় না এমন জঘন্য অপরাধ অথচ তিনি চুপ! হাথরস কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা অভিষেক ব্যানার্জির
ফের নির্ভয়া-কাণ্ডের ছায়া যোগীরাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের হাথরাস গণধর্ষণে তোলপাড় গোটা দেশ। তার মধ্যে হাথরসে গণধর্ষণের শিকার দলিত তরুণীর দেহ রাতারাতি দাহ করে ফেলে কার্যত আগুনে ঘি ঢেলেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনায় বিক্ষোভে ফুঁসছে নাগরিক সমাজ। এ নিয়ে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। বুধবার এক ট্যুইটে তিনি লেখেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমানায় অকথ্য অপরাধের সাক্ষী হল হাথরস এবং প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ। ট্যুইটারে তিনি আরও লেখেন, ১৫ দিন ধরে অসুস্থ শরীর নিয়ে লড়াই করে নতি স্বীকার করলেন তরুণী। তাঁর শেষ যাত্রাও অবজ্ঞাপূর্ণভাবে শেষ করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক লেখেন, আপনার মধ্যে যদি আর মানবতা অবশিষ্ট থাকে তো এই দলিত তরুণীর জন্য মুখ খুলুন।
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসের তরুণীকে গণধর্ষণ করে গ্রামের চার যুবক। প্রচণ্ড মারধরের পাশাপাশি, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। মুখের একাধিক জায়গা এবং জিভে কামড়ে গভীর ক্ষত করে দেয় তারা। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁর দুই পা ও হাত অসাড় ছিল। মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শিরদাঁড়া এবং ঘাড়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালেই চিকিৎসা চলে। পরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর।
এর মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে গড়িমসি করা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত তরুণীর দেহ রাতারাতি দাহ করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে মেয়েটির দেহ তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের ঘরে ঢুকিয়ে তালা মেরে দেওয়া হয়। তারপর মেয়েটির বাবাকে গাড়িতে তুলে সটান শ্মশানে নিয়ে গিয়ে নির্যাতিতার দেহ দাহ করে ফেলা হয়। যা নিয়ে সারা দেশ জুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে প্রতিবাদ মিছিল চলছে। অবরোধে নেমেছে ভীম আর্মি। নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এই প্রেক্ষিতে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
Comments are closed.