শনিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। জাতীয় রাজনৈতিক স্থরে উত্থান ঘটেছে তাঁর। নতুন পদ পাওয়ার পরেই দলীয় কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি ট্যুইট করে দলের সিনিয়ার নেতৃত্বকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের নম্বর টু। আর রবিবার সশরীরে পৌঁছে গেলেন দলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জির বাড়ি।
সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। তৎকালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এই পদে ছিলেন। তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর সুব্রত বক্সীকে ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই পদে এবার দলের এতদিনের যুব সভাপতি। জানা যাচ্ছে, দলের সিনিয়ার নেতৃত্বের আর্শীবাদ নিয়েই রাজনৈতিক জীবনের এই নতুন পথ চলা শুরু করতে চান অভিষেক। তাই পদে আসীন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জির বাড়ি।
তৃণমূলের মহাসচিবের বাড়িতে প্রায় দেড় ঘন্টা ছিলেন অভিষেক। সূত্রের খবর,এদিন পার্থ চ্যাটার্জি ছাড়াও দলের আরও কয়েকজন প্রবীণ নেতার বাড়িতে তাঁদের প্রণাম করতে যাবেন ডায়মন্ড হারবারে সাংসদ।
একুশের ভোট যুদ্ধ কার্যত তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ-এর নির্ধারক ছিল। মমতা ব্যানার্জির ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে তাঁকেই নিশানা করে আক্রমণ শানিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। মোদী-শাহদের মুখে ঘনঘন উঠে এসেছে ‘ভাইপো’ প্রসঙ্গ। জবাব দিয়েছেন অভিষেকও। তৃণমূল নেত্রীর পাশাপাশি তিনিও রাজ্যজুড়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন। প্রতিটি জনসভা থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে তুলধনা করেছেন। ভোট বাক্সে তার ডিভিডেন্ডও পেয়েছে তৃণমূল। অনেকের মতে, তৃণমূলের ২১৩ টি আসন প্রাপ্তির অন্যতম কান্ডারি অভিষেক ব্যানার্জি।
রাজনীতির কারবারিদের মতে, ভোটের পরেও যশ কবলিত এলাকা পরিদর্শন হোক, কিংবা মুকুল জায়াকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়া, সবেতেই অভিষেক একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিকের মত পদক্ষেপ করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের অনেকেই রবিবার অভিষেকের পার্থ চ্যাটার্জির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেছেন।
Comments are closed.