দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ২১ জুলাই। সভামঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন অভিষেক ব্যানার্জি, সেদিক কর্মী সমর্থকদের পাশপাশি তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহলও। আর এদিন বক্তব্যে দলবদলু নেতাদের আক্রমণ শানিয়ে অভিষেকের সাফ ঘোষণা, “আজকের তৃণমূল নতুন তৃণমূল। এখানে গাদ্দার, মীরজাফরদের জায়গা নেই”
ঘড়ির কাঁটা ১২.২০-এর আশেপাশে। শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মঞ্চে উঠলেন অভিষেক ব্যানার্জি। সভাস্থলে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে বিপুল হাততালির ঝড় । বক্তব্য রাখতে উঠে অভিষেকও উপস্থিত জনগণকে শুভেচছা জানানোর পাশপাশি প্রত্যাশা মতোই ব্যরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। একুশের ভোটের আগে যে নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের নাম না করে এদিন তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। বলেন, “এই তৃণমূল নতুন তৃণমূল। এখানে গদ্দার, বেইমান, মীরজাফররা নেই।”
সেই সঙ্গে এদিন ফের একবার একাংশের দলীয় নেতা কর্মীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “তৃণমূল করতে হলে মানুষকে প্রাধান্য দিতে হবে । তৃণমূল নিজের করে খাওয়ার জায়গায় নয়। হয় ঠিকাদারি করুন না হলে তৃণমূল।” পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। জানান, পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র মানুষের গ্রহণযোগ্যতাকেই দেখা হবে। কোনও বড় নেতার অনুগামী হলেও টিকিট পাওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বিতর্ক নিয়েও এদিন বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্র বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের ৯ হাজার কোটি টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। সড়ক যোজনার সাড়ে চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকাও বন্ধ”। তার পরেই অভিষেকের ঘোষণা, বাংলার নিজের টাকা নিজেই জোগাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সময় দিন। তবে কেন্দ্রের চাপে পড়ে আমরা মাথা নোয়াবো না।” বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ”কেন্দ্র চেয়েছিল কেন্দ্রের নামে প্রকল্প করতে হবে, তবেই টাকা দেবে কেন্দ্র। কিন্তু অন্য দলগুলির মতো এই চাপের কাছে তৃণমূল আত্মসমর্পণ করবে না। আমরা বলেছি, বাংলার প্রকল্প হলে শুধু বাংলার নামেই হবে।”
Comments are closed.