সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর একাধিক বার অভিষেক ব্যানার্জির মুখে নতুন তৃণমূলের কথা শোনা গিয়েছে। সেই নতুন তৃণমূল ঠিক কী? এবার কার্যত তারই উত্তর দিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। কেশপুরের জনসভা থেকে বক্তব্য রাখার সময় আচমকা এক ব্যক্তিকে মঞ্চে ডেকে নেন তৃণমূল সাংসদ। ওই ব্যক্তির নাম শেখ হোসিরুদ্দিন। অভিষেক জানান, হোসিরুদ্দিন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। উনি কোনও দল করেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওনাকে কেন ডাকলাম?
অভিষেক জানান, শেখ হোসিরুদ্দিন আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা নেননি। মঞ্চ থেকেই হোসিরুদ্দিন বলেন, আবাস যোজনায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পেতেন তিনি। কিন্তু বাড়ি করতে আরও কিছু টাকার দরকার। আর নতুন করে টাকা খরচ করলে তিনি তাঁর এক মাত্র মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন না। যে কারণেই তিনি আবাস যোজনার টাকা নেননি। এরপরই শেখ হোসিরুদ্দিনকে দেখিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি ঘোষণা করেন, এরকম সৎ মানুষই আগামী দিনে তৃণমূলের মুখ। এঁরাই দলের পঞ্চায়েতের মুখ। সেই সঙ্গে হোসিরুদ্দিনের মেয়ের বিয়েরও দায়িত্ব নেবেন বলে ঘোষণা করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ।
শেখ হোসিরুদ্দিনের মতোই আরও দু’জনকে মঞ্চে ডেকে নেন অভিষেক। কেশপুরের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মঞ্জু দলবেরা এবং এবং তাঁর স্বামী তৃণমূলের বুধ সভাপতি অভিজিৎ দলবেরা। অভিষেক জানান, দীর্ঘ ১০ বছর অভিজিৎ দলবেরা তৃণমূলের বুধ সভাপতি। এনারাও আবাস যোজনার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। টাকা না নেওয়া প্রসঙ্গে মঞ্জু দলবেরা বলেন, বাড়ি করতে গেলে আবাস যোজনার টাকা ছাড়াও নিজেদের অনেকগুলো টাকা খরচ করতে হতো। আর সেই টাকা খরচ করলে নিজের ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন না। মঞ্চ থেকেই অভিষেক ওই দম্পতিকে ;প্রতিশ্রুতি দেন, তৃণমূলের তরফে তাঁদের বাড়ি করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অভিষেকের মন্তব্য, আমি গর্বিত যে আমি এমন এক দলের সাধারণ সম্পাদক যেখানে আমার সহকর্মী অভিজিৎ-এর মতো সৎ মানুষেরা। এরপরেই অভিষেক ফের একবার ঘোষণা করেন, হোসিরুদ্দিন, অভিজিৎ-এর মতো মানুষেরাই আগামী দিনে তৃণমূলের মুখ।
Comments are closed.