দেশের ৫০ টি রেল স্টেশনের সংস্কারে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। ফের মোদী ঘনিষ্ঠ আদানি শিল্পগোষ্ঠীর হাতে যেতে চলেছে রেল স্টেশন সংস্কারের বরাত? সরকারি সূত্রের খবর, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ৫০ টি স্টেশন পুনর্গঠনের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। বেসরকারি সংস্থার হাতেই এই কাজের বরাত দেবে কেন্দ্র। নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যে বেসরকারি সংস্থাগুলি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ গুজরাতের শিল্পপতি গৌতম আদানির গোষ্ঠী। আদানি ছাড়াও জিএমআর গ্রুপ, জেকেবি ইনফ্রা, সাপুরজি পালোনজি, টাটা রিয়েলটি, এনআইআইএফ, গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড, এসেল গ্রুপ ইত্যাদি বেসরকারি সংস্থা প্রথম দফায় স্টেশন সংস্কারের কাজ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
আরও জানতে ক্লিক করুন, কয়লা সরবরাহ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত
সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড রিকোয়েস্ট ফর কোয়ালিফিকেশন (আরএফকিউ)- এর মাধ্যমে ইচ্ছুক বেসরকারি শিল্প সংস্থাকে নাগপুর, গোয়ালিয়র, অমৃতসর ও সবরমতি স্টেশনের বরাত দিতে চেয়েছে। এই চারটি স্টেশন সংস্কারের খরচ হবে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সুরাট স্টেশনের জন্যও শীঘ্রই প্রস্তাব আসতে চলেছে।
গত শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশের সময় জানান, চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন সংস্কারের জন্য বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি তেজস এক্সপ্রেসের মতো বেসরকারি ট্রেনেই যাত্রীরা বিশেষ স্বচ্ছন্দ বলে দাবি করেন।
এদিকে গত অক্টোবর মাসে নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদবকে লেখা এক চিঠিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ টি স্টেশনের সংস্কার ‘অতি প্রয়োজনীয়’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সংস্কারের কাজ যে খুব ঢিমে তালে চলছে, সেটাও তিনি রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানান। এই অবস্থায় বেসরকারি সংস্থার হাতে স্টেশনগুলি তুলে দিয়ে সংস্কারের কাজ দ্রুততর করতে চাইছে মোদী সরকার।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমস রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে ৫০ টি স্টেশনের নিলাম হতে চলেছে। স্টেশন প্রতি সংস্কারের খরচ হবে আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক বৈঠকে বেসরকারি সংস্থাগুলির তরফে দাবি তোলা হয়, নিলামের যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত আর্থিক সঙ্গতির উপর।
এদিকে সরকারি আমলাদের নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসের সংস্কারের কাজে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
Comments are closed.