সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি আদানি গ্রুপের, মত প্রকাশের অধিকারের নামে স্বেচ্ছাচার অনুচিত

প্রশ্ন উঠছে খোলা চিঠির আড়ালে অন্য কাউকে বার্তা দিতে চাইল কি আদানি গ্রুপ? 

সংবাদমাধ্যমের একাংশে মিথ্যে প্রচার চলছে। তার প্রভাব পড়ছে শেয়ার হোল্ডারদের উপর। তাই অবিলম্বে মিথ্যে প্রচার বন্ধ করতে হবে। এবার সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি দিল আদানি গোষ্ঠী। অভিযোগ, চিঠি দিয়ে আসলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের মুখ বন্ধের চেষ্টা করছে আদানি গোষ্ঠী। 

আদানি গোষ্ঠী খোলা চিঠিতে বলে, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবে। কিন্তু কি কি মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি ওই খোলা চিঠিতে।

সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত একাংশের অভিযোগ, দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের জেরে এমনিতেই চাপে সরকার। অন্যদিকে কৃষক আন্দোলন থেকে আদানি-আম্বানীর স্বার্থ রক্ষারও অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তা সম্প্রচার করছে সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ। এই অবস্থায় আদানি গোষ্ঠীর খোলা চিঠিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া মোদী সরকারের গুনগানে ব্যস্ত। সেখানে হাতে গোনা কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ব্যতিক্রমী সংবাদ পরিবেশন করছে। আর তার জেরেই আদানি গোষ্ঠী খোলা চিঠি দিল। এর আগে কোনও কর্পোরেট সংস্থা প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে এভাবে মুখ খোলেনি। 

দু’পাতার খোলা চিঠিতে আদানি গোষ্ঠীর দাবি, অবাধ বাক স্বাধীনতার নামে কোনও সংবাদমাধ্যম যদি এই গোষ্ঠীর ক্ষতি করতে চায়, তবে স্বার্থরক্ষার তাগিদে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। কিন্তু কোন সংবাদের প্রেক্ষিতে আদানিদের এই খোলা চিঠি, তা জানা যায়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে খোলা চিঠির আড়ালে অন্য কাউকে বার্তা দিতে চাইল কি আদানি গ্রুপ? 

ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর মালিক গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি ৩ নতুন কৃষি আইনের মাধ্যমে মোদী সরকার কৃষিকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ আন্দোলনরত কৃষকদের। তা নিয়মিত উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এই প্রেক্ষিতে দেশের সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে আদানি গ্রুপের খোলা চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Comments are closed.