তৃণমূলে ফেরার আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের পর ঘণ্টা দুয়েক কেটেছে কিনা সন্দেহ, খেলা শুরু করে দিলেন মুকুল রায়। শুক্রবার রাতেই ফোন গেছে বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের কাছে। কথা হয়েছে মুকুলের সঙ্গে। শনিবার সকালেও মুকুলের ফোন চলেছে বলে খবর। বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে কি এই নিয়েই চূড়ান্ত আলোচনা করলেন মুকুল? এটাই এখন প্রশ্ন।
বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গ। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের অন্তত দু’জন সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মুকুল রায়ের। উত্তরবঙ্গের এক সাংসদের কাছে ইতিমধ্যেই প্রস্তাব গিয়েছে তৃণমূল তরফে।
এদিকে বিজেপি এমপি অর্জুন সিংহের আত্মীয় সুনীল সিংহের মত দলবদলের জল্পনা বাড়িয়ে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও মন্তব্য করেছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তৃণমূল নেত্রী এবং অভিষেকের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক মধুর। ভোটের আগে এই বিশ্বজিৎ দাসই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন।
উত্তরের সাংসদের পাশাপাশি সারা রাজ্যে সাত থেকে আট জন বিজেপির জয়ী বিধায়কের সঙ্গেও কথা বলেছেন মুকুল, বলে খবর। বিধায়কদের তালিকায় একজন রয়েছেন উত্তরবঙ্গ থেকেও। মুকুলের খেলা শুরুর খবর গিয়েছে গেরুয়া নেতৃত্বের কাছেও। চেষ্টা হচ্ছে মুকুলের কবল থেকে বিধায়ক, সাংসদদের বাঁচানোর।
যদিও বিজেপির রাজ্য নেতারা প্রকাশ্যে দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন। মুকুল রায়ের বিজেপি ছাড়া নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আয়ারাম গয়ারামদের নিয়ে দল চিন্তিত নয়।
Comments are closed.