রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে হঠাৎ তাঁর ইস্তফা ঘিরে নানান জল্পনা শুরু হয়েছিল। পাঁচ বছর মেয়াদ বাকি থাকলেও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ। এবার তাঁকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে এল তৃণমূল।
পদত্যাগ পত্রে অর্পিতা জানিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে তিনি সাংসদ পদ ছাড়ছেন। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই তাঁর পদত্যাগ। যদিও সাংসদ পদ ছাড়ার আগের দিন অভিষেক ব্যানার্জিকে লেখা তাঁর একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানিয়েছিলেন, তিনি সংগঠনের কাজ করতে চান। আর সাংসদ পদ ছাড়ার দু’দিনের মাথাতেই তাঁকে রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক করল তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এই মর্মে অর্পিতাকে চিঠি পাঠান।
এদিকে অর্পিতার সাংসদ পদ ছাড়ার পরে স্বাভাবিক ভাবেই আরেকটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অর্পিতার জায়গায় কাকে রাজ্যসভায় আনতে চলছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে জাতীয় রাজনীতিতে একটি বড় নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে সংগঠন বিস্তারকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। অভিষেক দায়িত্বে আসার পর ত্রিপুরা দিয়ে সে কাজ শুরুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সূত্রে খবর, জাতীয় স্তরের কোনও নেতাকেই রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল। এমনও হতে পারে অন্য কোনও দল থেকেও কোনও হেভিওয়েট নেতৃত্ব তৃণমূল যোগ দিতে পারেন শীঘ্রই। সেক্ষেত্রে সেই বড় নামকেও অর্পিতার জায়গায় প্রার্থী করার সম্ভাবনা রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের।
Comments are closed.