মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁদের বহিরাগত বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। বিজেপি শিবিরের তরফে মমতাকে জবাব দেওয়াও অব্যাহত। এর মধ্যে তেহট্টের সভা থেকে অমিত শাহের হুঙ্কার, বাংলায় এখন পরিযায়ী নেতারা আসছেন!
যে অমিত শাহ নিজেই তৃণমূলের বহিরাগত তিরে বিদ্ধ, সেই অমিত শাহ নিজেই পরিযায়ী আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধীর দিকে! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় প্রেক্ষাপটে অমিত শাহ রাহুল গান্ধীকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাংলার রাজনীতিতে এর প্রভাব কী?
বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের প্রেক্ষিতে কেরলের ওয়েনারের সাংসদের প্রচার করা নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দফার শেষে রাজ্যে প্রচারে আসেন রাহুল গান্ধী। জোড়া সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ শানান তিনি। তেহট্ট থেকে সেই জবাবই দিতে চাইলেন অমিত শাহ। বললেন, বাংলায় এখন পরিযায়ী নেতারা আসছেন। চার দফার পর রাজ্যে এসেছিলেন রাজনৈতিক পর্যটক।
প্রসঙ্গত, গোয়ালপোখরে রাহুল গান্ধী তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, বিজেপি কোনও দিন তৃণমূল মুক্ত ভারত চাইবে না। বিজেপি জানে বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়াবেন মমতাজি। কিন্তু বিজেপি কংগ্রেস মুক্ত ভারত চায় কারণ কংগ্রেস কখনও বিজেপির ভুয়ো জাতীয়তাবাদের রাজনীতির সঙ্গে আপস করবে না।
তারপর সভা করে রাহুল গান্ধী ফিরে গেছেন বাংলা থেকে। কিন্তু প্রসঙ্গ ভোলেননি অমিত শাহ। তাই নববর্ষের ঠিক পরদিন বাংলায় প্রচারে এসে রাহুল গান্ধীর নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন।
এদিন মঞ্চ থেকে আদিবাসী থেকে শুরু করে গোর্খা, ব্যবসায়ী থেকে চাকুরিজীবী, সকলের জন্য বিজেপি সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। বলেন, এবার বাংলার নমশূদ্র, তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ একমাত্র বিজেপির হাতেই সুরক্ষিত থাকবেন। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে মহিলাদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়ে আরও পদক্ষেপ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঞ্চ থেকে ফের একবার দাবি করেন, বিজেপিই একমাত্র অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারে।
Comments are closed.