নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে ক্রমেই গরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। সিএএ পাশ হওয়ার পর বছর ঘুরে গেলেও কেন এখনও বিজেপি প্রতিশ্রুতি মতো তাঁদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ জানিয়ে রেখেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। দলের সভা সমাবেশেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপি জানিয়েছিল, রাজ্য সফরে এসে ঠাকুরনগর যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্বের আশ্বাস দেবেন তিনি। কিন্তু আগামী ১৯ ও ২০ ডিসেম্বরে, অমিত শাহের যে কর্মসূচি তাতে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বোলপুর থাকলেও, নেই উত্তর ২৪ পরগনা!
আপাতত অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়ে যা খবর, তাতে জানা যাচ্ছে আগামী শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর তাঁর মেদিনীপুর সফরে যাওয়ার কথা। এরপর রবিবার তাঁর যাওয়ার কথা বোলপুর। শান্তিনিকেতনে একটি কর্মসূচির পাশাপাশি তিনি একটি রোড শো এবং সভা করবেন বলে খবর।
মতুয়াদের নাগরিকত্বের প্রশ্নে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর মান ভাঙাতে ঠাকুর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, শান্তনু ঠাকুরকে বলা হয় অমিত শাহ সুখবর দেবেন। কৈলাস জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে অমিত শাহ আসছেন না। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান কী?
কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বনগাঁয় বিশাল সমাবেশ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দাবিদাওয়া পূরণে একের পর এক পদক্ষেপ করেছেন। মতুয়ারা যে এ দেশেরই নাগরিক এবং আলাদাভাবে তাঁদের আর কোনও পরিচয়পত্রের দরকার নেই, সে কথাও জোরের সঙ্গে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়াদের প্রতি তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বয়ং বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও।
তারপরই তড়িঘড়ি অমিত শাহকে এনে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা শুরু হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এখনও রুল ফ্রেম হয়নি সিএএ’র। ফলে নির্দিষ্ট করে অমিত শাহের পক্ষে সময় বলা কার্যত অসম্ভব। তাই কি শাহের কর্মসূচি স্থগিত হল? মতুয়াদের ক্ষোভ দূর করতে না পারলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে কি তার প্রভাব পড়তে পারে? সেটাই এখন বড়ো প্রশ্ন।
Comments are closed.