কোচবিহারে শাহের মুখে পাকিস্তান! ডিভিডেন্ড না বুমেরাং?
ভোটের বাংলায় অমিত শাহের হাত ধরে ঢুকে পড়ল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে ভিড়ে ঠাঁসা জনসভায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া নিয়ে শাহের বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তান। বলেন, মমতা দিদির বাংলায় জয় শ্রীরাম বলা বারণ। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রশ্ন, তাহলে কি পাকিস্তানে গিয়ে জয় শ্রীরাম বলব?
উত্তর ভারতে বিজেপির নির্বাচনী জয় যাত্রায় পাকিস্তান শব্দটি পজিটিভ অনুঘটকের কাজ করেছে বলে দাবি করেন বিরোধীরা। তাদের কথায়, পাকিস্তান হল বিজেপির মুস্কিল আসান। আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি নেতাদের মুখে পাকিস্তান শব্দটি যে কতটা লাভজনক তা বুঝতে ফিরে দেখতে হবে হালফিলে তাদের নির্বাচনী জয় যাত্রা।
উত্তরপ্রদেশ, বিহার ঘুরে এবার পাকিস্তান হাজির বাংলায়। কিন্তু অমিত শাহের মুখে পাকিস্তান ধ্বনি কতটা ডিভিডেন্ড দিতে পারবে বঙ্গ বিজেপিকে? উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ফল প্রকাশের।
এদিন বক্তৃতার শুরু থেকেই নিজের মেজাজে ছিলেন মোদীর ডেপুটি। একদিকে যেমন রাজবংশী সম্প্রদায়ের জন্য একাধিক বড়ো প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন অন্যদিকে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জিকে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সিএএ নিয়ে একটি শব্দও বলেননি শাহ।
কিন্তু সব ছাপিয়ে উঠেছে শাহের মুখে পাকিস্তান।
তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলার অবস্থা এমনই যে জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। মমতা ব্যানার্জিকে শাহের প্রশ্ন, মমতা দিদি, জয় শ্রীরাম স্লোগান যদি এখানে দেওয়া না যায় তাহলে কি পাকিস্তানে গিয়ে জয় শ্রীরাম বলতে হবে? তারপরই শাহ বলেন, বিধানসভা ভোট শেষ হতে হতে মমতা ব্যানার্জিও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেবেন।
বাংলার ভোটে জয় শ্রীরাম ইস্যু হলেও পাকিস্তান কি আদৌ ডিভিডেন্ড দেবে গেরুয়া বাক্সে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অমিত শাহ কিছু না ভেবে স্রেফ বলে দিলেন এমনটা হতে পারে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, শাহের গলায় পাকিস্তান ভোট বাক্সে ফুল ফোটাতে পারবে কিনা। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত বিহার ভোটের ফল ঘোষণার আগে এই অমিত শাহর মুখেই শোনা গিয়েছিল, নীতিশ-লালু-কংগ্রেসের জোট জিতলে পাকিস্তানে পটকা ফাটবে। তা বুমেরাং হয়েছিল বিজেপির। সরকার গড়েছিল মহাজোট।
অমিত শাহ এবার বাংলায় নিয়ে এলেন পাকিস্তান। ভোটে প্রভাব পড়বে? উত্তর দেবে সময়।
Comments are closed.