ভীমা কোড়েগাঁও কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মানবাধিক কর্মী, অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বেকে গ্রেফতার করল পুলিশ

ভীমা কোড়েগাঁও কাণ্ডে এর আগে মানবাধিকার কর্মী এবং কবি ভারাভারা রাওসহ একাধিক সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এবার সমাজকর্মী এবং অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বেকে গ্রেফতার করা হল একই মামলায়। শনিবার সকালে পুনে পুলিশ মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গোয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক এবং প্রখ্যাত সমাজকর্মী আনন্দ তেলতুম্বেকে গ্রেফতার করে। মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পুনে আদালত জানায়, ২০১৭ সালে ভীমা কোড়েগাঁও ঘটনায় আনন্দ তেলতুম্বের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। ১১ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে যাতে গ্রেফতার না করা হয় তার জন্য পুনে আদালতে আবেদন করেছিলেন গোয়া ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের এই অধ্যাপক। শুক্রবার, তা খারিজ করে দেয় পুনে আদালত। এরপরই, শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুনের জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার শিবাজি বোডখে জানান, আনন্দ তেলতুম্বেকে আদালতে তোলার আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুনে পুলিশের দাবি, ২০১৭ সালে ৩১ শে ডিসেম্বর মাওবাদীর মদতে পুনের এলগার পরিষদ কনক্লেভে সভা হয়। সেখানে একাধিক বক্তা উত্তেজক মন্তব্য করেন, যা ভীমা কোড়েগাঁওয়ের হিংসাত্মক ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। ওই ঘটনায় উপস্থিত আনন্দ তেলতুম্বের সঙ্গে মাওবাদীদের বিশেষ যোগ রয়েছে বলেও দাবি করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ভীমা কোড়েগাঁওয়ে দলিতদের বিজয় দিবসের সমাবেশকে কেন্দ্র করে উচ্চবর্ণের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল গত বছরের ১ লা জানুয়ারি।
তেলতুম্বার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী রোহান নাহার দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর ভীমা কোড়েগাঁও কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারাভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, সুধা ভরদ্বাজ, গৌতম নাভলাখাসহ একাধিক মানবাধিকার এবং সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুনে পুলিশ। এমনকী তাঁদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়েছিল। এই গ্রেফতারি নিয়ে সেই সময় দেশজোড়া বিতর্কও হয়।

Comments are closed.