তদন্তকারী অফিসারদের উপর চোখ রাঙিয়ে ফিয়ার সাইকোসিস তৈরি করছেন অর্ণব গোস্বামী। তদন্তকারী সংস্থা যাতে স্বচ্ছভাবে নির্ভয়ে তদন্ত শেষ করতে পারে, আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক। এবার এই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল উদ্ধব ঠাকরের মহারাষ্ট্র সরকার।
২১ এপ্রিল রিপাবলিক টিভি চ্যানেলে অর্ণব গোস্বামী পালঘর গণপিটুনির ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর দেশব্যাপী তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান অর্ণব গোস্বামী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সমস্ত রাজ্যে দায়ের মামলা স্থগিত করে একমাত্র নাগপুরে দায়ের এফআইআর মুম্বইয়ে বদলি করে তার তদন্ত শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মামলাতেই তদন্তে নেমে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা অর্ণব গোস্বামীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বই পুলিশ।
গত ২ মে মহারাষ্ট্র সরকারের দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে কোনও চাপ, হুমকি এবং জবরদস্তি থেকে তদন্তকারী সংস্থাকে রক্ষা করা দরকার। যাতে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত স্বচ্ছ হয় সে ব্যাপারে দেখার জন্য শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া অন্তর্বতীকালীন নিরাপত্তার যাতে ‘অপব্যবহার’ করতে না পারেন অর্ণব গোস্বামী, সে কথাও বলা হয়েছে এই পিটিশনে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, অর্ণব গোস্বামী চোখ রাঙিয়ে একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন। যাতে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রিপাবলিক টিভির হিন্দি চ্যানেলের একটি শোকে উদ্ধৃত করে উদ্ধব ঠাকরের সরকার আদালতে জানিয়েছে, চ্যানেলের বিতর্ক সভায় অর্ণব গোস্বামীর মন্তব্য ছিল তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে হুমকির সামিল। সাংবাদিক পদটির চরম অপব্যবহার করছেন অর্ণব গোস্বামী, এমন অভিযোগও করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বলা হয়েছে অর্ণব গোস্বামী রিপাবলিক টিভির দুই চ্যানেলে বারবার মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার সহ পুলিশ ফোর্সের বিরুদ্ধে ভুয়ো, হাস্যকর এবং অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। এইভাবে তদন্তকারীদের শাসিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাইছেন অর্ণব বলে অভিযোগ।
গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আগামী তিন সপ্তাহ অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে তদন্ত প্রক্রিয়ায় তাঁকে সাহায্য করতে হবে।
Comments are closed.