নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার বিরুদ্ধে স্ট্যাম্প ডিউটি অনিয়মের অভিযোগে নতুন তদন্ত শুরু করল আয়কর দফতর। অভিযোগ, গুরুগ্রামের একটি আবাসন হস্তান্তরে অনিয়ম করেছেন অশোক লাভাসা, স্ত্রী নোভেল ও বোন শকুন্তলা লাভাসা।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, আয়কর দফতর একটি চিঠি দিয়ে হরিয়ানার অতিরিক্ত সচিব ও অর্থনৈতিক সচিব এই ‘আর্থিক গরমিল’-এর তদন্তের কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে হরিয়ানার অর্থ সচিব ধনপৎ সিংহ জানান, চিঠিতে আয়কর দফতর অভিযোগ করেছে, নোভেল লাভাসার আয়কর রিটার্ন থেকে জানা গিয়েছে গুরুগ্রামে একটি চারতলা আবাসনের ফার্স্ট ফ্লোর তিনি ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকায় শকুন্তলা লাভাসাকে বিক্রি করেন। এবং শকুন্তলাও তাঁর ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের আয়কর রিটার্নের এই সম্পত্তিকে ‘অধিকৃত’ বলে দেখিয়েছেন। যদিও, রেজিস্ট্রির কাগজ থেকে জানা যাচ্ছে নোভেল এই আবাসনটি ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর স্বামী অশোক লাভাসাকে উপহার দেন। চলতি বছরের ২১ শে জানুয়ারি আবার একই সম্পত্তি বোন শকুন্তলাকে উপহার দেন অশোক লাভাসা। একে স্ট্যাম্প ডিউটি ফাঁকি বলে বর্ণনা করেছে আয়কর দফতর।
২০১৪ সালের হরিয়ানা সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্থাবর সম্পত্তি রক্তের সম্পর্ক ও বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে কাউকে উপহার দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি দেওয়া আবশ্যিক নয়। অন্যায্যভাবে সেই আইনেরই সুবিধা নিয়েছেন লাভাসারা বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা।
প্রসঙ্গত কয়েক মাস ধরে আয়কর দফতরের কড়া নজরে রয়েছে লাভাসা ও তাঁর পরিবার। এছাড়া ইডির তদন্তের জেরে লাভাসা পুত্র আবীর ও স্ত্রী নোভেল চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
লোকসভা ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিরোধীরা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনে। তার বিচার করতে বসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা সহ তিন সদস্যের কমিটি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁদের ক্লিনচিট দেয়। প্যানেলে একমাত্র লাভাসাই মোদীকে ক্লিন চিটের বিরোধিতা করেছিলেন। ২০২১ সালে সুনীল অরোরার অবসরের পর ১৯৮০ ব্যাচের আইএএস অফিসার অশোক লাভাসা মুখ্য নির্বাচন কমিশন হওয়ার দৌড়ে একেবারে সামনে রয়েছেন।
Comments are closed.