গুজরাতের উন্নয়ন আসলে প্রদীপের তলার অন্ধকার! শাহকে পাল্টা জবাব ব্রাত্য বসুর
পরিসংখ্যান দিয়ে গুজরাত মডেলের সমালোচনা
বৃহস্পতিবার রাজ্য সফরে এসে, সাগরের সভা থেকে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অমিত শাহ। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে শাহের জনসভায় বলা দাবি-প্রতিশ্রুতির পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। বাংলার সঙ্গে তুলনা করে ব্রাত্য বসু গুজরাতের উন্নয়ন মডেলকে প্রদীপের তলায় অন্ধকার বলে কটাক্ষ করেন।
অমিত শাহ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছিলেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে অস্থায়ী শিক্ষকদের যথাযথ বেতনের জন্য কমিটি তৈরী করা হবে। ব্রাত্য বসু বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে গুজরাতে মোট বাজেটের ২% খরচ হয়। অথচ নিয়ম ৭-৮% খরচের। মন্ত্রীর দাবি, গুজরাতে অস্থায়ী শিক্ষকদের পাশাপাশি স্থায়ী শিক্ষকরাও নিয়মিত বেতন পান না। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশন অনিয়মিত। বাংলার তুলনায় শিশু মৃত্যুর হার গুজরাতে বেশি। ব্রাত্য দাবি করেন, গুজরাতে ৪৫% শিশু অপুষ্টির শিকার। মৎস্যজীবীদের জন্যও শাহ বার্ষিক ৬০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ব্রাত্য দাবি করেন, গুজরাতে অসংখ্য মৎস্যজীবী, আদিবাসীদের ভূমিহীন করেছে গুজরাত সরকার। এমনকী এই নিয়ে গুজরাত সরকারকে একাধিকবার ভর্ৎসনা করেছে গুজরাত হাইকোর্ট বলেও উল্লেখ করেন। তৃণমূলের বিধায়কের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের সরকারের প্রকল্পগুলোকেই অনুসরণ করছে কেন্দ্রের সরকার। তিনি বলেন স্বাস্থ্যসাথী শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে, যেখানে আয়ুষ্মান ভারত শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে।
[আরও পড়ুন- তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে তৃণমূল, শনি-রবিতে মিছিল যাদবপুর-বেহালায়]
এদিন বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রাত্য বসু এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রীতি অনুযায়ী তিনটি পুরস্কার দেওয়া হয়। অভিযোগ, এদিনের অনুষ্ঠনে দেশিকোত্তম, অবন ও গগন পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
ব্রাত্য অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেন, ওঁর কথা শুনে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ভোঁদড় বাহাদুর গল্পের কথা মনে পড়ছে। বইয়ের ভোঁদড় বাহাদুর মিথ্যে কথা বলায় ওস্তাদ ছিল। বাস্তবেও তো একই জিনিস দেখছি, খোঁচা ব্রাত্য বসুর।
Comments are closed.