আনলক পর্বে বিয়ে বা যে কোনও অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন জড়ো হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে গত ১৫ জুন বিহারের এক বিয়ে বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিনশো লোক জড়ো হয়েছিলেন। আর তাতেই হল অঘটন। বিয়ের একদিন পরই মৃত্যু হল বরের। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া একশোর বেশি মানুষের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস!
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে পাটনার পালিগঞ্জের বাসিন্দা ওই ইঞ্জিনিয়র পাত্রের শরীরে করোনার লক্ষণ ছিল। যদিও করোনা পরীক্ষা করা হয়নি তাঁর। অন্যদিকে, এই বিয়ে বাড়ি থেকে সংক্রমিত হয়েছেন কমপক্ষে ১১১ জন৷ বিয়ে বাড়ি থেকে আমন্ত্রিতরা নিজেদের গ্রামে ফিরে যাওয়ার পর সেই এলাকাগুলিতেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
সূত্রের খবর, বিহারের পটনার পালিগঞ্জে পেশায় ইঞ্জিনিয়র এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক হয়। গুরুগাঁওয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। ওই যুবক বিয়ের আগে গাড়িতে করে বিহার থেকে কিছু দিনের জন্যে দিল্লি গিয়েছিলেন। তার পর বিহারে পৌঁছে তিনি কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তখন তাঁর মধ্যে করোনার কোনও লক্ষণই ছিল না। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগে আগেই তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই গত ১৫ জুন বিয়ে করতে যান তিনি। ধুমধাম করে হওয়া এই বিয়েতে উপস্থিত হয় সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষ। কিন্তু বিয়ের পরের দিনই মৃত্যু হয় বরের। অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। যাঁরা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের শরীরেও করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তড়িঘড়ি টেস্ট করা হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই বিয়ে বাড়ি থেকে মোট ১১১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ৩৬৯ জনের শরীর থেকে রক্ত ও লালারসের নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮৯ জনের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে এবং ৩১ জন আগে থেকেই করোনা পজিটিভ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার পর পুলিশ ও প্রশাসন বেশ কিছু বাজার ও এলাকা সিল করে দিয়েছে। বাজারে ব্যারিকেড করা হয়েছে, পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আবেদন করা হয়েছে তাঁরা যেন বাড়ির বাইরে না বের হন
Comments are closed.