পাটনা হাইকোর্টের বিতর্কিত বিচারপতিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বদলি

বিচার ব্যবস্থায় অসঙ্গতি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিতর্কে আসা পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি রাকেশ কুমারকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হল। আগামী ১৩ নভেম্বর তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
গত অগাস্ট মাসে এক দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। পাটনা হাইকোর্টের ওই প্রবীণ বিচারপতি রাকেশ কুমার বলেছিলেন, বিচার বিভাগে যুক্ত থাকা কর্মীদের দুর্নীতির ব্যাপারে অন্ধ সাজার চেষ্টা করেন উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা। পাটনা হাইকোর্টের দুর্নীতি আসলে ‘ওপেন সিক্রেট’ বলেও বোমা ফাটিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁর আরও মন্তব্য ছিল, বিচারপতিরা নিজেদের দায়িত্ব পালনের থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিতেই বেশি আগ্রহী। বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই করা বদলির নির্দেশ বিচারপতি রাকেশ কুমারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলে ইংরেজি নিউজ পোর্টাল ‘TheWire” খবর করেছে। ১৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম রাকেশ কুমারকে বদলির ব্যাপারে সুপারিশ করে। তবে বিচারপতির বদলির কারণ উল্লেখ করেনি কলেজিয়াম। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিচারপতির আসন থেকে হাইকোর্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে আঙুল তোলার কারণেই এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাকেশ কুমারকে।
অগাস্ট মাসে বিচারপতি রাকেশ কুমারের ওই সব বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই তাঁর এজলাসে থাকা যাবতীয় মামলা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ পি সাহির। পাটনা হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চের মত ছিল, বিচারপতি কুমার আদালতের অবমাননা করেছেন। তবে বিচারপতি রাকেশ কুমারের এজলাস থেকে মামলা সরিয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল পাটনা হাইকোর্টের আইনজীবী সংগঠন। তার পরেও বিচারপতি রাকেশ কুমারকে পাটনা অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি কোড়া হল।
দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে পাটনা হাইকোর্টে কাজ করার পর ২০০৯ সালে সেখানেই অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন রাকেশ কুমার।  ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি হন তিনি। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
অন্যদিকে, পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ পি সাহিরকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.