বিহার রয়েছে বিহারেই। এবার বিধানসভা ভোটের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৬৮ শতাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। একাধিক বিধায়কের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। আবার এই বিজয়ী প্রার্থীদের অধিকাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, কিন্তু বিধায়কদের সম্পত্তির পরিমাণ চোখ ধাঁধানো। বিহার ভোটে বিজয়ী প্রাত্থীদের নিয়ে সম্প্রতি এমনই সব তথ্য দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (ADR) এক রিপোর্টে।
এই রিপোর্ট বলছে,
বিহারে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনী যজ্ঞে ২৪৩ জন বিধায়কের মধ্যে ১৬৩ জন বিধায়ক হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অর্থাৎ মোট বিধায়কের ৬৮ শতাংশের বিরুদ্ধেই এই ধরণের মামলা রয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫১ শতাংশের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মতো গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। এডিআরের রিপোর্ট বলছে, গতবারের তুলনায় এবারের ভোটে এই ধরনের নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
কোন দলের কত বিধায়কের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা?
সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট বলছে, আরজেডির ৭৪ জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জন, বিজেপির ৭৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৭ জন, জেডি(ইউ)-এর ৪৩ বিধায়কের মধ্যে ২০ জন, কংগ্রেসের ১৯ বিধায়কের মধ্যে ১৬ জন, সিপিআই(এমএল)(এল)-এর ১২ বিধায়কের মধ্যে ১০ জন এবং এআইএমআইএম-এর ৫ বিজয়ী প্রার্থীর সবার বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। শতাংশের বিচারে আরজেডির ৬০ শতাংশ, বিজেপির ৪৮ শতাংশ, জেডি(ইউ)-এর ২৬ শতাংশ, কংগ্রেসের ৫৮ শতাংশ, সিপিআই (এমএল)(এল) ৮ জন ৬৭ শতাংশ এবং মিমের ১০০ শতাংশ জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধেই গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে।
আবার এই বিজয়ী প্রার্থীদের সম্পত্তির হিসেবও নজরকাড়া। হলফনামা অনুযায়ী, বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ১৯৪ জনই কোটিপতি। সর্বাধিক কোটিপতি বিধায়ক রয়েছেন বিজেপিতে। তাঁদের ৬৫ জন বিধায়কের সম্পত্তির মূল্য কোটি টাকার উপর। আরজেডি-র ৬৪ জন বিধায়ক কোটিপতি। এছাড়া নীতীশ কুমারের দলের ৩৮ ও কংগ্রেসের ১৪ জন বিধায়ক কোটি টাকার মালিক বলে জানাচ্ছে এডিআরের রিপোর্ট। জয়ী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন? এডিআরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সদ্য নির্বাচিত ৮২ জন বিধায়কের পড়াশোনার দৌড় পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মধ্যেই।
Comments are closed.