শিয়রে পুরভোট। আর তার আগেই ফের একবার প্রকাশ্যে বিজেপির কোন্দল। নারদ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের জের। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। বুধবার বিকেলেই তাঁকে রাজ্য বিজেপির তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হাওড়ার পুরভোট নিয়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার হাওড়ার পুরভোট নিয়ে একটি মিটিং জেলার সমস্ত নেতাদের ডাকা হয়। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। ওই মিটিং এই ৫০ টি ওয়ার্ডের পুরোভোটের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়, যার চেয়ারম্যান করা হয় বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে আসা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে। যার তীব্র বিরোধিতা করেন সুরজিৎ। ওই বৈঠকেই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, হাওড়ার এক বিজেপি নেতা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে যোগসাজশ রেখেছেন।
আর এই অভিযোগের উত্তরেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন জেলার সভাপতি সুরজিৎ সাহ। শুভেন্দুকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, উনি যে অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রমাণ দিতে হবে, নাহলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে লক্ষ্য করে জেলা সভাপতির তোপ, ওনাকে টিভির পর্দায় নারদার টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ওনার সততা নিয়েও বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন রয়েছে। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, শুভেন্দু বিজেপিকে তৃণমূলের বি-টিম বানাতে চাইছে। তৃণমূলের বি-টিমের বিরুদ্ধে তাঁরা কাজ করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে মুকুল রায়, রাজীব ব্যানার্জি প্রসঙ্গ টেনে সুরজিৎ বলেন, আমি ২৮ বছর বিজেপি করছি, ভবিষ্যতেও করবো। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী আবার তৃণমূলে যাবেন নাতো?
আর সুরজিৎ সাহার এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দলের অন্দরের কথা উনি প্রকাশ্যে বলে দলের শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। আর বেলা গড়াতেই শুভেন্দুকে আক্রমণের জেরে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন সুরজিৎ সাহা।
Comments are closed.