ওপেনিংয়ে সূর্য, মাঝে অধীর-সেলিম, শেষে আব্বাস-বাঘেল, ব্রিগেডে বক্তা তালিকা সাজাতে নয়া কৌশল
নয়া কৌশল নিচ্ছে আলিমুদ্দিন
ফেব্রুয়ারির শেষ রবিবার ব্রিগেডে সভা বাম-কংগ্রেসের। কত লোক আসবেন, কোন পথ ধরে আসবেন, ট্র্যাফিক জ্যাম যাতে না হয় সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা, নেতাদের অভ্যর্থনা, সব মিলিয়ে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিমান বসুরা ব্রিগেড ঘুরে গেছেন। এবার বসেছেন বক্তা লাইন আপ ঠিক করতে। আর তা করতে গিয়ে নয়া কৌশল নিচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
এতদিন বাংলা তথা দেশের রাজনীতিতে অলিখিত ব্যাপার ছিল, কোনও সভার সবচেয়ে হাইভোল্টেজ বক্তা বলবেন সবার শেষে। নরেন্দ্র মোদীর সভায় মোদীই শেষ বক্তা, রাহুল গান্ধীর সভায় রাহুল শেষ বক্তা। ঠিক তেমনই ব্রিগেড সমাবেশেও বরাবর বামেদের সবচেয়ে জোরাল বক্তার জন্যই রাখা থাকত শেষ স্লটটি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যৌথভাবে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটাচ্ছে মুজফফর আহমেদ ভবন ও বিধান ভবন। এর মূল কারণ, এবার ব্রিগেড সমাবেশে বক্তার সংখ্যা। যা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
এই পরিস্থিতিতে বিমান বসুরা ঠিক করেছেন, ক্রাউড পুলার বক্তাদের শুরুতেই বক্তৃতা করানো হবে। তাঁরা প্রথমেই উঁচু মাত্রায় বেঁধে দেবেন সভার সুর। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে সভার সভাপতি বিমান বসু শুরুতে প্রারম্ভিক ভাষণ দেবেন। তারপর বলতে উঠবেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। মিডল অর্ডারে সেলিম-অধীর জুটি। লোয়ার মিডল অর্ডারে আব্বাস সিদ্দিকি এবং ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। মূলত এভাবেই সাজান হয়েছে বক্তাদের। শোনা যাচ্ছে, সিপিএমের পক্ষ থেকে বলবেন সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সীতারাম ইয়েচুরি এবং দেবলীনা হেমব্রম। কংগ্রেস থেকে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। এছাড়া বাম শরিকদের থেকে একজন করে বক্তা বক্তব্য রাখবেন। বক্তৃতা করবেন আইএসএফের আব্বাস সিদ্দিকি।
মূলত এই ছকে বক্তা তালিকা সাজান চলছে। ইয়েচুরি, দেবলীনা হেমব্রম বা শরিক দলের নেতারা এই লাইন আপেই বলার সুযোগ পাবেন।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দীর্ঘ বক্তা তালিকার জেরে এমনিতেই সভার সময় বাড়বে। বাস-ট্রেন ধরার তাড়া উপেক্ষা করে শেষ বক্তব্যের জন্য সবাই বসে থাকবেন এমনটা নাও হতে পারে। তাই শুরু থেকেই চালিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিন-বিধান ভবনের।
Comments are closed.