বিক্রি নয়, বিএসএনএল-এমটিএনএলের সংযুক্তিকরণের পথে মোদী সরকার, থাকছে স্বেচ্ছাঅবসরের প্যাকেজও

দীপাবলীর আগে সুখবর ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ধুঁকতে থাকা দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা এমটিএনএল এবং বিএসএনএলকে বাঁচাতে, এই দুই সংস্থার সংযুক্তিকরণের কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এবিষয়ে নীতিগত প্রস্তাবও পাশ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, রুগ্ন সংস্থাগুলিকে সংযুক্তিকরণের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই সরকার বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে বন্ধ করে দিচ্ছে না বা বেসরকারিকরণও করছে না। তিনি জানিয়েছেন, এমটিএনএল এবং বিএসএনএলের সংযুক্তিতে, বন্ডের মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সরকার এবং ৩৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রি করা হবে।
টেলিকম ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিযোগিতার কারণে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই দুই টেলিকম সংস্থা। ব্যাপকভাবে আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে বিএসএনএল এবং এমটিএনএল। মাসের পর মাস বকেয়া বেতন পরে রয়েছে এই দুই সংস্থার কর্মীদের। তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। বাধ্য হয়ে লাগাতার আন্দোলনের পথেও যেতে হচ্ছে সংস্থা দুটির কর্মীদের। মাঝে জানা গিয়েছিল, এই দুই সংস্থাকেই বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে নরেন্দ্র মোদী সরকার এই দুই সংস্থাকে পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নিল।
কিন্তু সংযুক্তিকরণ হলেও লাভের পরিমাণ না বৃদ্ধি করতে পারলে আদতে যে স্থায়ী ভিত্তিতে এই দুই সংস্থার আর্থিক সমস্যার কোনও সুরাহা হবে না, তাও বিলক্ষণ জানে সরকার। সে কারণেই ভবিষ্যতে এই দুই সংস্থা থেকে কর্মী সঙ্কোচনের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে সরকার। রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের জন্য আকর্ষণীয় প্রকল্প নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেছেন, কোনও কর্মীর বয়স যদি এখন ৫৩ বছরের কাছাকাছি হয়, তবে স্বেচ্ছাবসরের পর ৬০ বছর পর্যন্ত তিনি ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন পাবেন। দীর্ঘদিন ধরেই ৪জি স্পেক্ট্রামের দাবি সরকারের কাছে জানিয়ে আসছিল বিএসএনএল। বিএসএনএলে প্রাএই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কর্মী এবং এমটিএনএলে ২২ হাজার কর্মী কাজ করেন।
সংস্থা দুটিকে বাঁচাতে প্রায় ৬৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কথা ভাবছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছাবসরের বিষয়টি ছাড়াও সংস্থা দুটির হাতে ৪ জি স্পেক্ট্রাম তুলে দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ৪জি স্পেক্ট্রামের দাবি সরকারের কাছে জানিয়ে আসছিল বিএসএনএল।

Comments are closed.