রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল। সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহা ঘোষণা করেন রাজ্যে এ পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৫৯ এবং অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৯০৮।
এদিন মুখ্যসচিব মেনে নেন, রাজ্যে প্রথম দিকে টেস্ট কম হচ্ছিল। কিন্তু তারপর পরিসংখ্যান দেখিয়ে দাবি করেন, বর্তমানে প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে টেস্ট হয়েছে ২৭৯ জনের। যেখানে ১০ দিন আগে সেই সংখ্যা ছিল ১০৯। পাশাপাশি রাজ্যে রিকভারি রেট ১৭.৩২%। ডেথ রেট প্রতি মিলিয়নে ১.৪৭ বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
মুখ্যসচিব জানান, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫,১১৬ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জনের নমুনা পজিটিভ এসেছে।
এদিন কেন্দ্র-রাজ্য করোনা পরিসংখ্যানে অমিল নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, গোটা প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে ধরা পড়েছে রিপোর্টিং করার পদ্ধতিতে গলদ ছিল। তাই ২-৩ দিন সময় নিয়ে প্রক্রিয়াটিকে ঠিক করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের তরফে রিয়াল টাইম ডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রেও কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল বলে মেনেছেন তিনি।
লকডাউনের তৃতীয় পর্বে, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত কনটেইনমেন্ট জোন বাদে রাজ্যের সর্বত্র স্ট্যান্ড অ্যালোন সমস্ত এসেনশিয়াল ও কিছু নন এসেনশিয়াল সামগ্রীর দোকান খোলা যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তবে মল কিংবা মার্কেট কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে। খনির কাজকর্ম শুরু হবে। গ্রামে শুরু করা যেতে পারে নির্মাণ কাজ। শহরের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে নির্মাণ কাজ করতে হবে। গ্রিন জোনে জেলার মধ্যে ৫০% যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল শুরু হতে পারে। মুখ্যসচিব আশা প্রকাশ করেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। পাশাপাশি তিনি জোর দেন আরও বেশি করে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের উপর।
Comments are closed.