করোনা: আরও বৃদ্ধি পেল দেশে বেকারত্বের হার! সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হরিয়ানা, ত্রিপুরা, রাজস্থানে, জানাল CMIE

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বেকারত্বের হার আরও খারাপের দিকে। শহরাঞ্চলে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন মানুষ কর্মহীন, অগাস্টে দেশে বেকারত্বের হার গিয়ে ঠেকেছে ৮.৩৫ শতাংশে। এমনই রিপোর্ট দিল সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)।
মঙ্গলবার সিএমআইই-এর প্রকাশিত মাসিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, অগাস্ট মাসে ভারতের শহরাঞ্চলগুলিতে কর্মসংস্থানের হার হয়েছে ৯.৮৩ শতাংশ। যা গত জুলাই মাসে ছিল ৯.১৫ শতাংশ। সার্বিকভাবে শহরাঞ্চলের প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন মানুষ কোনও কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে দাবি করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
সিএমআই-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত জুলাই থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে গ্রাম ও শহরাঞ্চলে সার্বিক বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৯২ শতাংশ। গত জুলাই মাসে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৪৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে অগাস্ট মাসের শেষে হয়েছে ৮.৩৫ শতাংশ। গত মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণার পর দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। অগাস্ট মাসের শেষে দেখা যাচ্ছে গত ৫ মাসে দেশের বেকারি ভীষণই স্বল্প হারে কমেছে। সিএমআইই এও জানাচ্ছে, ভারতে প্রাক-কোভিড মাসগুলিতে অর্থাৎ, ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.২২ থেকে ৭.৭৬ শতাংশের মধ্যে। এদিকে গ্রামীণ অঞ্চলে বেকারত্বের হারেও ফারাক চোখে পড়েছে। জুলাই মাসে ভারতের গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৬৬ শতাংশ। সেখান থেকে অগাস্টে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৬৫ শতাংশে।
রাজ্যভিত্তিক বেকারত্বের হার পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হরিয়ানায়। সেখানে অগাস্ট মাসে বেকারত্বের হার হয়েছে ৩৩.৫ শতাংশ। তারপরে রয়েছে ত্রিপুরা (২৭.৯ শতাংশ) এবং রাজস্থান (১৭.৫ শতাংশ)। সিএমআই-এর রিপোরেট অনুযায়ী, অগাস্ট মাসে সবচেয়ে কম বেকারত্বের পরিসংখ্যান কর্ণাটকে (০.৫ শতাংশ)। তারপর ওড়িশা (১.৪ শতাংশ) এবং গুজরাত (১.৯ শতাংশ)।
কেন্দ্র লকডাউন শিথিল করার পরেও দেশের এই বেকারত্বের হার উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সিএমআই- এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ভাস জানান, অগাস্টে বেকারত্বের এই পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝা যাচ্ছে লেবার মার্কেটে শিথিলতা জারি রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে কাজের বাজারে কিছুটা ভালো পরিস্থিতি দেখা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

Comments are closed.