বুধবার অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাটে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক আগের রাতে টাকা ছড়িয়ে সভায় লোক আনার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ভিডিওটেপ দেখিয়ে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। যদিও বুধবার বিকেল পর্যন্ত কমিশনে এনিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বুধবারের মোদীর জনসভায় লোক জড়ো করতে এবং ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিপুল টাকা ছড়াতে চাইছে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে একটি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ, পাসিঘাটের সিয়াম গেস্ট হাউস থেকে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ তাঁর। রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১২ টা নাগাদ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের হলেও, এখনও পর্যন্ত এফআইআর দায়ের হয়নি। কোথা থেকে টাকা এলো এবং এই টাকা কালো না সাদা, তার অবিলম্বে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্রের কটাক্ষ, নির্বাচন কমিশন কি ঘুমিয়ে পড়েছে?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মদতেই কালোটাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে তোপ কংগ্রেসের। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর ইস্তফারও দাবি তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র সুরজেওয়ালার কটাক্ষ চৌকিদারই যে চোর, তা আরও একবার প্রমাণিত।
Comments are closed.