করোনাভাইরাসের বাতাসে ভেসে বেড়ানোর প্রমাণ মিলছে, মেনে নিল WHO, ১০ মিটার পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে পারে জীবাণু!
করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত, তার প্রমাণ ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশ্বের ২৩৯ জন বিজ্ঞানীর চিঠির প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। মঙ্গলবার WHO জানায়, করোনাভাইরাস যে হাওয়াতেও ভেসে বেড়াতে পারে, এমন প্রমাণ মিলছে। অতিমারি পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হচ্ছে বলেও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রসঙ্গত, করোনা এয়ারবর্ন বা বায়ুবাহিত, এই তত্ত্বে নতুন করে জোর দিয়ে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামত জানতে চান বিশ্বের কয়েকশো বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি, ২ মিটারের বেশি দূরত্ব ভেসে বেড়াতে পারে এই ভাইরাস। যদিও সংক্রমণ রোধে অন্তত দু’মিটার সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছিল হু।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাধানোম ঘেব্রেয়েসাস জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে এবং এখনই অতিমারির শেষে পৌঁছনোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সারা বিশ্বকে এই ভাইরাসের কাছে যেন জরিমানা দিতে হচ্ছে, মন্তব্য হু-র প্রেসিডেন্টের।
৭ জুলাই, মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ, মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের।
WHO তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রমাণের জন্য সবসময় চিন্তাভাবনা খোলামেলা রাখতে হবে। সংক্রমণের পদ্ধতি এবং কীভাবে তা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার তা বোঝার জন্য গবেষণা ও পরীক্ষার রাস্তা খোলা আছে। করোনা বায়ুবাহিত কি না এ নিয়ে তথ্য ক্রমশ জোরদার হচ্ছে বলেও মেনে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত শনিবার ৩২ দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী দাবি করেন, পাঁচ মাইক্রোমিটারের ছোট ড্রপলেটে থাকা করোনাভাইরাস বহু সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে এবং ১০ মিটার পর্যন্ত তা ছড়িয়ে যেতে পারে।
তাঁদের দাবি, নোভেল করোনাভাইরাসে উপস্থিত ক্ষুদ্র কণা বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে এবং সংক্রমিত করতে পারে মানুষকে।
এ নিয়ে প্রথমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একমত না হলেও এখন তারা মেনে নিচ্ছে, করোনা বায়ুবাহিত হতেও পারে। তবে তার জন্য আরও গবেষণা দরকার।
Comments are closed.