দিল্লিতে পিৎজা ডেলিভারি বয়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতারাতি সারাদেশে অনলাইন হোম ডেলিভারি কমেছে প্রায় ৩০%। শুধু রান্না করা খাবার নয়, লকডাউন চলাকালীন অনলাইন স্টোর থেকে মুদিখানা থেকে শুরু করে ওষুধ, সবই অর্ডার চলছিল শহরাঞ্চলে। কিন্তু পিৎজা ডেলিভারি বয়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তাতে বড় ধাক্কা দিল, মনে করছেন ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থাগুলোর কর্তারা।
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পিৎজা ডেলিভারি করা এক কিশোরের করোনা ধরা পড়ে। জানা যায়, গত দু’সপ্তাহ ধরে কিশোর হজ খাস, মালব্য নগর, সাবিত্রী নগর সহ দক্ষিণ দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় মোট ৭২ টি পরিবারে পিৎজা ডেলিভারি করেছে। কিশোরের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই ওই ৭২ টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। মনে করা হচ্ছে কোনও বাড়িতে পিৎজা ডেলিভারি করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছে সে।
বৃহস্পতিবার থেকে এই ঘটনার প্রভাব সরাসরি পড়তে শুরু করে অনলাইন ডেলিভারি ব্যবসায়। বিশেষ করে কমে যায় ফুড ডেলিভারির সংখ্যা।
দিল্লির একটি হাইপার লোকাল ডেলিভারি স্টার্টআপের কর্ণধার বলছেন, ১৪ তারিখের ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি রাতারাতি আমূল পাল্টে গিয়েছে। এতটা বদল অপ্রত্যাশিত ছিল। ৩০% মতো ব্যবসা পড়ে গেছে। এই পরিমাণ যে আরও কমবে না, এটা বলার অবস্থায় আমরা নেই।
বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিৎজা বিক্রি। দিল্লির এক ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ জানাচ্ছেন, অন্যান্য সময় বিকেলের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টি অর্ডার এসে যায়। কিন্তু শেষ দু’দিন তা ৩-৪ টিতে এসে ঠেকেছে। দক্ষিণ ভারতে তুলনায় ঘটনার প্রভাব কম।
অথচ পরিসংখ্যান বলছে, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় দ্বিতীয় সপ্তাহে অনলাইন ডেলিভারি ব্যবসা বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য হারে। অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ স্যুইগি জানাচ্ছে, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে ব্যবসা পড়েছিল প্রায় ৮০%। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই তুলনায় ব্যবসা বেড়েছে ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত। কিন্তু দিল্লির ঘটনার পর পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। স্যুইগির এক আধিকারিকের আশা আগামী সপ্তাহ থেকে মানুষ ফের অনলাইন ডেলিভারিতে ফিরে যাবেন।
আর এক অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থা জ্যোম্যাটো অবশ্য পরিস্থিতি দ্রুত বদলাবে বলে আশাবাদী। সেই সঙ্গেই তাদের সতর্কবার্তা, একান্ত প্রয়োজন না হলে অর্ডার করবেন না।
Comments are closed.