দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে আতঙ্ক। দেশের যে রাজ্যগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেগুলির মধ্যে কেরল অন্যতম। দেশের প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল এখানেই। তাই অতিরিক্ত সতর্ক কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ ও পরামর্শ মেনে কাজ করছে কেরল প্রশাসন। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এখানে যেমন বেশকিছু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেরকমই ভাইরাস যাতে না ছড়ায় সে কারণে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের পরিবারের সদস্যদেরও তাদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এর জেরে তৈরি হচ্ছে কিছু সমস্যা।
৮ মার্চ এই রাজ্যের পথনমথিট্টা জেলার রান্নি পাঝাভাঙ্গাদি গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচ বাসিন্দার শরীরে মিলেছে করোনার ভাইরাস। এঁদের মধ্যে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিন জন ইতালি থেকে ফিরেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁদের শরীর থেকেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ছড়ায় ভাইরাস। পরে এখানকার আরও ছ’জনের দেহে করোনাভাইরাস মিলেছে বলে খবর।
সতর্কতা হিসাবে ওই গ্রামের ৩৪ টি পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে বাড়িতে। আগামী বেশ কিছুদিন তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরনো নিষেধ। এর ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। এতদিন আটকে থাকলে খাবেন কী? তাই ওই পরিবারগুলির সদস্যরা বাড়ির বাইরে যেতে চাইছেন খাবার কিনতে। কিন্তু সতর্কতার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও চিকিৎসকরা সেই অনুমতি দিতে নারাজ। তাহলে এতদিন কী করে থাকবেন ওই পরিবারগুলির সদস্যরা? খাবেন কী?
সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে কেরল প্রশাসন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফেই তাঁদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হবে।
ওই পঞ্চায়েতের সভাপতি জোসেফ কুরিয়াকোস জানিয়েছেন, ১০ মার্চ থেকেই তাঁরা ওই ৩৪ টি পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, পানীয় জল দেওয়া শুরু করেছে। দেওয়া হয়েছে ১০ কেজি করে চাল, লঙ্কাগুঁড়ো, পেয়াজ, ডিম, ময়দা, সাবান ইত্যাদি। তিনি আরও জানিয়েছেন, জেলা কালেক্টরেটের তরফে ওই পরিবারগুলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে তাঁদের কিছু প্রয়োজন হলে বাড়ির বাইরে যেতে না হয়। বাড়িতেই সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, কেরলের মধ্যে সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে এই জেলাতেই। গত ৪৮ ঘণ্টায় এখানে নতুন করে ১১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
Comments are closed.