জেলায় ফিরেই ‘দুয়ারে সুশান্ত ঘোষ’, মেদিনীপুর জুড়ে ব্যাপক প্রচার বামেদের

১০ বছর পর জেলায় ফিরে সক্রিয় হচ্ছেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ

একুশের বিধানসভা ভোট সামনে রেখে প্রচারে একে অন্যকে টক্কর দিচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি। দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। এই প্রেক্ষিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে জনসংযোগ অভিযানে নেমে পড়েছে সিপিএমও। যার নেতৃত্বে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ।

২০১১ সালে বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়ায় সুশান্ত ঘোষের। সেই মামলায় দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন গড়বেতা বিধানসভার ছ’বারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী। সম্প্রতি ওই মামলা থেকে জামিন পেয়ে নিজের জেলায় ফেরার অনুমতি পান। সুশান্ত জেলায় ফিরছেন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা জুড়ে দলীয় পতাকা লাগাতে শুরু করেছিল সিপিএম। সুশান্ত ঘোষকে স্বাগত জানাতে হাজির হয় হাজার হাজার মানুষ। জেলায় ফিরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএম সংগঠনকে সক্রিয় করতে উদ্যোগ নিয়েছেন সুশান্ত। এখন যেন ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজের জনপ্রিয়তা। পার্টি অফিসে বসছেন, পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, শুনছেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। প্রতিদিন নিয়ম করে জনসংযোগ করছেন প্রায় ১০ বছর পর নিজের জেলায় ফেরা সুশান্ত ঘোষ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএম নেতৃত্বের কথায়, ২০১১ সালের পর রাজ্যের শাসকদল এমন প্রচার করেছিল, যেন সুশান্ত ঘোষ মানেই ত্রাস। কিন্তু এলাকার মানুষ জানেন তিনি কেমন মানুষ। তাই রাষ্ট্রশক্তি তাঁকে ১০ বছর নিজের জেলায় ঢুকতে না দিলেও সুশান্তের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যে অটুট প্রতিদিন তাঁর প্রমাণ মিলছে। আর মানুষের প্রতিক্রিয়ায় অভিভূত সুশান্ত নিজে বলছেন, ১০ বছর আগে এলাকায় যে ভালোবাসা পেতাম, এখন দেখছি তা অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে।

গড়বেতার যেখানেই তিনি যাচ্ছেন, তাঁকে ঘিরে ভিড় করছেন মানুষ। যদিও সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের তরফে নির্দিষ্ট কোনও এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি সুশান্ত ঘোষকে। এখন সুশান্ত ঘোষের জনসংযোগ অভিযান নিয়ে জোর জল্পনা, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ফের প্রার্থী করবে সিপিএম।

এদিকে তৃণমূল ও বিজেপি অবশ্য সুশান্ত ঘোষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তবে সুশান্ত ঘোষের ব্যক্তি ইমেজকে একেবারে উড়িয়েও দিতে পারছে না তারা। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা বলছেন, একাধিকবারের বিধায়ক, দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন (সুশান্ত ঘোষ), তাঁর কিছু অনুগামী তো থাকবেই। তবে তা নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন বলে জানান ওই তৃণমূল নেতা।

Comments are closed.