তৃণমূলের ৪ নেতার গ্রেফতারি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে চলা নারদ মামলায় শুনানি চলবে বৃহস্পতিবারও। বুধবার শুনানিতে নানা সওয়াল-জবাবের মধ্যে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা একটি সাবমিশন করেন। যাকে রীতিমতো বোমা হিসেবেই অভিহিত করছেন কেউ কেউ।
এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা ক্রিমিনাল ল-ইয়ার সিদ্ধার্থ লুথরা দাঁড়িয়েছেন ৪ হেভিওয়েটের হয়ে। বুধবার লুথরা সওয়াল করেন, ৭ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের একটি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের উপর ভিত্তি করে সিবিআই এখনও চলছে।
সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, সিবিআই এখনও চলছে সুপ্রিম কোর্টের একটি স্টে অর্ডারের উপর ভিত্তি করে। সিবিআই ওই অর্ডারে ঝুলছে…
সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সওয়াল করেছিলেন, তদন্তকারী সংস্থাকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কর্মীদের পরিকল্পিত বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে। তারপরই অভিযুক্তদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এই মন্তব্য করেন।
সিদ্ধার্থ লুথরা এই বিষয়ে আর কিছু বলেননি। ফলে জানা যায়নি তিনি ঠিক কোন মামলার স্টে অর্ডারের কথা বললেন। যদিও আইনজীবী মহল মনে করছে, এই কথার মধ্যে দিয়ে মূলত সিবিআইয়ের তদন্ত করার অধিকারকেই প্রশ্ন করলেন সিদ্ধার্থ লুথরা।
কেন এমন মনে করছেন আইনজীবীরা?
সিদ্ধার্থ লুথরার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনজীবীরা বলছেন, তিনি আসলে ৭ বছর আগের একটি মামলার কথা বলেছেন। যেখানে গুয়াহাটি হাই কোর্ট সিবিআইকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেয়। সালটা ২০১৩।
কী হয়েছিল?
Bar and Bench জানাচ্ছে, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর গুয়াহাটি হাই কোর্ট রায় দেয়, ভারত সরকারের ১৯৬৩ সালের রেসোলিউশন অনুযায়ী সিবিআইয়ের গঠন অসাংবিধানিক। কারণ সিবিআই গঠন হতে পারে কেবলমাত্র পৃথক আইন দ্বারা।
গুয়াহাটি হাই কোর্টের রায় জানাজানি হতেই সুপ্রিম কোর্টে দৌড়য় কেন্দ্র। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি পি সদাসিবমের বাড়িতে জরুরি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী মহলের অনুমান, দুঁদে আইনজীবী সম্ভবত সেই মামলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতাকে।
এদিকে ৭ বছর আগের সেই মামলার এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত শুনানি হয়নি। ২০১৯ সালের ২৬ জুন মামলাটি শেষবার ওঠে। বিচারপতি গরমের ছুটির পর মামলা লিস্ট করার নির্দেশ দেন।
নারদ মামলায় ৭ বছর আগের মামলার প্রসঙ্গ তুলে কী বার্তা দিলেন সিদ্ধার্থ লুথরা? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
Comments are closed.