জমজমাট দার্জিলিং হিল ম্যারাথন, মা ও স্ত্রীকে পাশে নিয়ে দৌড়লেন মিলিন্দ সোমন, পর্যটনের প্রসারে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের
মিলিন্দ সোমনের উপস্থিতিতে এবার জমজমাট দার্জিলিং হিল ম্যারাথন। ‘Time to R-UNLOCK’, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে এবারের দার্জিলিং হিল ম্যারাথনের থিম ছিল এটাই। রবিবার দার্জিলিং জেলা পুলিশ আয়োজিত সপ্তম দার্জিলিং হিল ম্যারাথনে অংশ নিলেন ২০২০ জন স্প্রিন্টার। জনপ্রিয় ম্যারাথন দেখতে ম্যালে জড়ো হয়েছিলেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ! গত কয়েক বছর ধরেই পাহাড়ে পর্যটনের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই হিল ম্যারাথন। করোনা কাটিয়ে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই পাহাড়মুখো হয়েছেন। রাজ্য পর্যটন দফতরের আশা, এবার ডিসেম্বর মাসে পাহাড়ে যাবেন বহু মানুষ।
১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার বিভাগের ওই ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা এসেছিলেন বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্য থেকে। অনুর্ধ্ব ৪৫ বছর, ৪৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে এবং পুলিশ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ম্যারাথনের রুট এবার আন্তর্জাতিকভাবে সার্টিফায়েড হয়েছে বলে জানায় দার্জিলিং পুলিশ। দার্জিলিঙ চৌরাস্তা থেকে শুরু করে সিংমারি, চকবাজার, ঘুম হয়ে আবার চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয় ম্যারাথন।
প্রতি বছর নভেম্বরে দার্জিলিঙে অনুষ্ঠিত হয় দার্জিলিং হিল ম্যারাথন। আয়োজন করে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। এবার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন শিশু ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও। সপ্তম হিল ম্যারাথনের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন অভিনেতা মিলিন্দ সোমন, স্ত্রী অঙ্কিতা এবং সোমনের মা। এঁরা সবাই ম্যারাথনে অংশ নেন। মিলিন্দের ৮১ বছর বয়সী মা ১০ কিলোমিটার দৌড়ন। দার্জিলিং ম্যারাথনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মিলিন্দ সোমনের কথায়, পাহাড়ের দৌড়বিদরা অনন্য!
দার্জিলিঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) অভিষেক গুপ্তা জানান, ”প্রতিবারই দার্জিলিং পুলিশের আয়োজনে এই ম্যারাথন নিয়ে প্রচুর মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। সবার মধ্যে থাকা ফাইটিং স্পিরিট বের করে আনা এবং আঞ্চলিক ট্যালেন্টদের চিহ্নিত করাই আমাদের ম্যারাথনের প্রধান লক্ষ্য।”
ম্যারাথনের সঙ্গে এবার একটি লাইভ কনসার্টেরও আয়োজন করেছিল পুলিশ। সেখানে হিন্দি, নেপালিতে গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে দেন গায়ক কৈলাস খের।
Comments are closed.