প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী কত্থক নৃত্য শিল্পী বিরজু মহারাজ। রবিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তাঁর। দিল্লিতে নিজের বাসভবনে মৃত্যু হয় ৮৩ বছরের বিরজু মহারাজের।
নাচের পাশাপাশি তবলা, সঙ্গীত ও ছবি আঁকাতেও সমান দক্ষতা ছিল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। তাঁর নিয়মিত ডায়লিসিসও চলত। এই নৃত্যশিল্পী ১৯৮৬ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছিলেন। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি, লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার, কালিদাস সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। বিরজু মহারাজের বাবা জগন্নাথ মহারাজ ওরফে অচ্চন মহারাজ, দুই কাকা শম্ভু মহারাজ এবং লচ্ছু মহারাজ ছিলেন বিখ্যাত কত্থক শিল্পী। ১৯৯৮ সালে দিল্লিতে নিজের কত্থক নৃত্যের স্কুল কলাশ্রম তৈরি করেন।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি একাধিক ছবিতে কোরিওগ্রাফির কাজও করেছেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ির’ ‘কানহা মে তোসে হারি’ গানটি তাঁর কোরিওগ্রাফে। ২০০২ সালে দেবদাস’ ছবিতে একটি গানে তাঁর তালিমে মাধুরী দিক্ষিত নাচ করেন। ২০১৬ সালে বাজিরাও মস্তানি ছবিতে দীপিকা পাডুকোনকে দেখা গিয়েছিল তাঁর কোরিওগ্রাফিতে নাচতে দেখা গিয়েছিল।
Comments are closed.