ক’দিন আগে পর্যন্ত যে পার্কে খেলা ধুলোয় মেতে থাকত কচিকাচারা, হেঁটে বেড়াতেন বয়স্করা আজ সেখানে দাউদাউ করে জ্বলছে চিতার আগুন!
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত মৃত্যুপুরী রাজধানী দিল্লি। শ্মশানে সবকটি চুল্লি দিনরাত জ্বলছে। চিতার আগুনও যেন নিভছে না। কিন্তু মৃত্যুর বিরাম নেই। অগত্যা সরাই কালে খান পার্কে অস্থায়ী শ্মশান তৈরি করতে বাধ্য হল প্রশাসন।
দিল্লির সরাই কালে খান শ্মশানে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় এবার সরাই কালে খান পার্ককে শ্মশানে রূপান্তরিত করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সরাই কালে খান পার্কেই মৃতদেহ দাহ করা হবে এবার। সোমবার থেকে সেখানে দেহ দাহ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দিল্লির সরাই কালে শ্মশানের এক কর্মী জানিয়েছেন, সেখানে ২০ টি কাঠের চিতার ব্যবস্থা রয়েছে। ২টি বৈদ্যুতিন চুল্লি রয়েছে। এর মধ্যে একটি চুল্লির সর্বক্ষণ জ্বলছে, অন্যটি নষ্ট।
শনিবারই সেখানে ২৭ জন কোভিড রোগীর মৃতদেহ এসেছে। রবিবার তা বেড়ে হয় ৩০ জনে। দিনে গড়ে এই শ্মশানে ৬০ থেকে ৭০টি মৃতদেহ আসছে। যা নিয়ে নাজেহাল অবস্থা শ্মশান কর্মীদের।
পার্কে আরও ৫০ টি কাঠের চিতা তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শ্মশানে নিজের পরিজনের দেহ দাহ করতে এসে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সব কাজ শেষ করতে ছ’ঘন্টার মতন সময় লেগে যাচ্ছে। শুধুমাত্র সরাই কালে খান শ্মশানই নয়, দিল্লির সব শ্মশানঘাটেই এক ছবি।
এই প্রসঙ্গে সমাজসেবী সংস্থার এক কর্মী জানিয়েছেন, সব শ্মশানগুলিতে করোনা সংক্রমিতদের জন্য আলাদা দেহ দাহ করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু করোনায় মৃতের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গিয়েছে, দাহ করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে পার্ক বা পার্কিং লটে অস্থায়ী শ্মশান তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই।
Comments are closed.