ফের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শুক্রবার দিনভর কলকাতায় অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও শনি ও রবিবার বেশি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে৷
রাজ্যে এখন প্রাক বর্ষার পরিস্থিতি। বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। তার জেরেই ঝড়-বৃষ্টি বাড়ছে।
এদিকে মৌসম ভবনের নতুন নির্ঘণ্ট মানলে শুক্রবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাস ঢুকে পড়ার কথা উত্তর-পূর্বে ভারতে। তারপর উত্তরবঙ্গ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কথা ১০ জুন নাগাদ। কিন্তু আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বাতাসের প্রবাহ। তাই পথে কিছুটা দেরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। এর মধ্যে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের পূর্ব প্রান্তে নতুন একটি নিম্নচাপ সৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার কর্নাটকের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের কিছুটা অংশ জুড়েও বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিন্তু নিম্নচাপ ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোলে সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও বর্ষার আগমন পিছিয়ে যেতে পারে। আবার নিম্নচাপ বাংলাদেশ, বাংলা লাগোয়া উপকূলের দিকে এগিয়ে এলে বৃষ্টি হবে বেশি আবার তার ধাক্কায় মৌসুমি বাতাসও ঢুকে যেতে পারে। তবে গত বছর যেমন জুনের শেষভাগে রাজ্যে বর্ষা ঢুকেছিল। এ বার ততটা দেরি না হওয়ারই আশা করছেন আবহবিদরা। কেরলে এবার বর্ষা ঢুকেছে নির্ধারিত সময়ে।
মৌসুমী বায়ু অন্ধ্র, তামিলনাডু, পুদুচেরির বেশ কিছু অংশে ঢুকে পড়েছে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর এই গতি বজায় থাকলে নির্ধারিত সময়ে বর্ষা আসবে রাজ্যে এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
Comments are closed.