২০২৪ এর ইউরো কাপে খেলবেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। এক পর্তুগিজ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ পর্যন্ত খেলতে চান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আরও দুটো বছর প্রিয় ফুটবলকে ভালোবাসে কেরিয়ারের শেষ ইউরো কাপ এনে দিতে চান দেশকে।২০২৪ সালে রোনাল্ডোর বয়স হবে ৩৯ বছর।
সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে নামতে পারেননি সি আর সেভেন। তাঁর জায়গায় রামোসকে নামিয়ে সেই ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল। হ্যাটট্রিক করেন রামোস। শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচে পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল রোনাল্ডোর। সেই কারণে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে কোচ তাঁকে প্রথম একাদশে রাখেননি। যদিও এই বিষয়ে কোচ নিজেই জানিয়ে দেন, পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব ভালো। তিনি মনে করেছেন ওই ম্যাচে যাঁদের মাঠে নামানো উচিত তিনি তাঁদেরকেই নামিয়েছেন। দলের প্রতিটি ছেলে কোন কায়দায় খেলে তা নখদর্পণে কোচের বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর সঙ্গে ম্যাচেও রোনাল্ডোকে রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যায়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন তিনি। সেই ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় পর্তুগাল। সি আর সেভেনকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি বলেই এই পরাজয় বলে প্রশ্ন ওঠে।
যদিও সান্তোস সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ম্যাচে রোনাল্ডকে রিসার্ভ বেঞ্চে রাখার বিষয়ে কোনও অনুশোচনা নেই তাঁর। সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই দলই খুব ভালো খেলেছিল। ক্রিশ্চিয়ানো একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। তাঁকে যখন প্রয়োজন মনে করেছি তখন মাঠে নামিয়েছি।
এর পরেই ফেসবুকে পর্তুগাল তারকা রোনাল্ডো লেখেন, পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আমার ভাগ্য ভালো যে আমি পর্তুগাল সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনেক শিরোপা পেয়েছি, কিন্তু আমাদের দেশের নাম ফুটবল বিশ্বে সবার ওপরে রাখাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আমি এর জন্য লড়াই করেছি। এই স্বপ্নের জন্য আমি কঠোর সংগ্রাম করেছি। ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে আমি যা শিরোপা পেয়েছি, তা লক্ষ লক্ষ পর্তুগিজ ও দলের প্রতিটি খেলোয়াড়দের সমর্থনে। ভবিষ্যতে কখনই সহকর্মীদের এবং দেশের দিকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না বলে আশ্বাস দেন তিনি। এরপরেই পর্তুগিজ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নিজেকে ২০২৪ সালে ইউরো কাপের জন্য তৈরী করছেন সি আর সেভেন।
Comments are closed.