কী করে টিকা নিলেন ভাইপো! কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতেই নয়া টিকা নীতি, অভিযোগ তৃণমূলের
করনাকালে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস
বিতর্কে ভাইপো। তবে অভিষেক ব্যানার্জি নন। তিনি তন্ময় ফড়নবিস। সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের ভাইপো।
১ মে থেকে করোনা টিকা নিতে পারবেন ১৮ ঊর্ধ্ব সবাই। সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে মাস্টারস্ট্রোক বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। এবার এই ইস্যুতেই বিজেপিকে বিঁধল তৃণমূল।
১ মে থেকে ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরা টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিসের ভাইপো তন্ময়। নাগপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে টিকা নেওয়ার ছবি ২৩ বছরের তন্ময় আপলোড করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই আগুনে ঘি পড়েছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, ৪৫ কবে হল?
অভিযোগ, ফড়নবিসের ভাইপোকে নিয়ে বিতর্ক ধামাচাপা দিতেই আরও বড় বিতর্কের মধ্যে যাচ্ছে কেন্দ্র। তাই তড়িঘড়ি ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন্দ্রের টিকা বণ্টন নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
মমতার উদ্বেগ, এমনিতেই টিকার উৎপাদন যা হচ্ছে তার পুরোটা এই দেশের মানুষের জন্য ব্যবহার না করে বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। এবার যদি টিকা সর্বজনীন করা হয় তাহলে চাহিদা বেড়ে যাবে বহুগুণ। সেক্ষেত্রে ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বদের টিকার জোগান কী করে নিশ্চিত করবেন মোদী? প্রশ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ফড়নবিস কেলেঙ্কারি থেকে নজর ঘোরাতেই সর্বজনীন টিকাকরণের জুমলা দিতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু এটা করে আসলে আরও বড় বিপদের দিকে ঠেলে দিলেন দেশকে, মন্তব্য কুণালের। যদিও তন্ময় ফড়নবিস করোনা যুদ্ধে ফ্রন্টলাইন ওয়ারিওর কীনা তা জানা যায়নি।
এই দফার করোনা পর্বে বিজেপি নেতাদের নাম জড়াচ্ছে একের পর এক করোনা-সংক্রান্ত বিতর্কে। অতিমারির বাজারে যখন খোলা বাজারে রেমডেসিভির বিক্রি নিষিদ্ধ, সেখানে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি পার্টি অফিস থেকে রেমডেসিভির বিলি করছেন। আবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস রেমডেসিভির উৎপাদনকারী সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টারকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতা করে থানায় গিয়ে গোলমাল করেছেন। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র বিজেপির তরফে একইভাবে রেমডেসিভির বিলি করার পরিকল্পনা ছিল। বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ট্যুইট করে জানাচ্ছেন, নিজের উদ্যোগে তিনি রেমডেসিভির মধ্যপ্রদেশ পাঠাচ্ছেন।
इंदौर में रेमडेसिवीर इंजेक्शन की कमी को देखते हुए मैंने अपने दवा उद्योग से जुड़े मित्रों के द्वारा 1700 इंजेक्शन इंदौर के लिए रवाना करवाए हैं। ये इंजेक्शन कलेक्टर श्री मनीष सिंह तक पहुँचाए जाएँगे। वहां से जरूरतमंदों को मिलेंगे।
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) April 19, 2021
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেমডেসিভিরের মতো ওষুধ কেন বিজেপি দফতর থেকে বিলি হবে? বিজেপিকে কে এই অনুমতি দিয়েছে? বিজেপি নেতারা জীবনদায়ী ওষুধ বিলি করবেন কেন? এই নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই এবার জানা গেল দেবেন্দ্র ফড়নবিসের ভাইপো, ২৩ বছরের তন্ময় টিকা নিয়ে ফেলেছেন। এখন প্রশ্ন হল, তা কী করে সম্ভব? উত্তর অজানা।
Comments are closed.