রাজ্যে মাওবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি তথ্যচিত্র ‘কোড নেম রেড’ ঝাড়খন্ড ফিল্ম ফেস্টিভালের সেরা পাঁচের লড়াইয়ে।
২০০৮ থেকে ২০১১, মাওবাদী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে রাজ্যের জঙ্গলমহল। এই আন্দোলন, লড়াই, সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে তৈরি পুরুলিয়ার আমজাদ কাজির স্বল্পদৈর্ঘের ছবি ‘কোড নেম রেড’ ঝাড়খন্ড ফিল্ম ফেস্টিভালে এবার সেরা পাঁচের দৌড়ে। এই প্রথমবার আয়োজিত হচ্ছে ঝাড়খন্ড আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভাল অ্যাওয়ার্ড। রাঁচিতে এই উৎসব শুরু হবে আগামী ২৫ শে মে। পুরুলিয়ার এই তরুণের ছবি প্রদর্শিত হওয়ার কথা উৎসব শুরুর প্রথম দিনেই। জুরির আসনে থাকছেন মহেশ ভাট, মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মত অভিনেতারা। thebengalstory.com কে আমজাদ জানালেন, রক্তাত্ত জঙ্গলমহল, মাওবাদী আন্দোলন, বাম ক্ষমতার অবসান, কিষেনজির মৃত্যুর মতো নানা বিষয় নিয়েই তৈরি ‘কোড নেম রেড’
পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল এলাকায় ২০০৮, ২০০৯ সালের মাওবাদী আন্দোলন এবং ২০১০ সালে মাওবাদী মোকাবিলায় মোতায়েন ১০ নম্বর ব্যাটেলিয়ন নাগা ফোর্সের লড়াই, সংঘর্ষকে ক্যামেরা বন্দি করেছেন সাংবাদিক তথা চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ। মোট ৪৩ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘কোড নেম রেড’। আমজাদ জানালেন, জীবনের ঝুঁকিকে পরোয়া না করে ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার ঘাটবেরাতে মাওবাদীদের সঙ্গে নাগা বাহিনীর সংঘর্ষ ক্যামেরা বন্দী করেছিলেন তিনি। যা এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবিটির মূল উপজীব্য। ছবিটির অন্যতম চিত্রনাট্যকার সোমা বসু, গ্রাফিক্স ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন সুমন ঘোষ। এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবিটিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বি এস তীর্থ। ভয়েস ওভার দিয়েছেন সুকান্ত মিত্র।
আমজাদ কাজি, পরিচালক
কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভাল, দিল্লি হ্যাবিটেট ওয়ার্ল্ড সেন্টার, নাগাল্যান্ড ফিল্ম ফেস্টিভালসহ একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে ‘ কোড নেম রেড’। তবুও আক্ষেপ জঙ্গলমহলের এই তরুণ পরিচালকের গলায়। দক্ষিণবঙ্গের এক পিছিয়ে পড়া জেলা থেকে অনেক লড়াই করে তাঁদের উঠে আসা, সেই অর্থে জোটে না স্বীকৃতি। টাকার অভাবে কখনও কখনও বন্ধ করে দিতে হয়েছে ছবি বানানোর কাজ।