সোমবার থেকেই ঘরে ঘরে পৌঁছনো শুরু হয়ে যাবে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টে অর্ডার করা সামগ্রী। লকডাউনের প্রথম পর্ব থেকেই গোটা দেশে কার্যত থেমে গিয়েছিল ডেলিভারি। ফলে অর্ডার করেও অনেক ক্ষেত্রেই ডেলিভারি পাননি ক্রেতারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর, আগামী ২০ এপ্রিল থেকেই ই-কমার্স সংস্থাগুলি ডেলিভারি চালু করতে পারবে বলে জানাল কেন্দ্র।
প্রথম লকডাউনের মধ্যে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ করার অনুমতি ছিল ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলির কাছে। কিন্তু ২০ এপ্রিল থেকে ঘরবন্দি ক্রেতাদের অর্ডার মাফিক যাবতীয় পণ্য নিয়ে হাজির হবেন সংস্থার ডেলিভারি ম্যানরা। বলাই বাহুল্য, সরকার থেকে এই অনুমতি মিলেছে অবশ্যই কঠোর সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার শর্তে।
লকডাউনে আটকে পড়া অর্থনীতিকে সচল করতে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কৃষি সহ একগুচ্ছ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করে। ওই তালিকায় ই-কমার্স এবং ক্যুরিয়ার পরিষেবার বিষয়টিও রয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে ওই সব এলাকায় যে সমস্ত কলকারখানা রয়েছে বা সেখানকার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, সড়ক নির্মাণ, কৃষিকাজের প্রকল্প, নির্মাণ ও শিল্প প্রকল্প, এমএনআরইজিএ-এর আওতায় কাজ, জল সংরক্ষণের কাজ এবং সাধারণ পরিষেবা দেওয়ার কেন্দ্র খোলা রাখা হবে। তবে করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে সব জায়গায় যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
লকডাউনের প্রথম পর্বে পরিষেবা বন্ধ করার নির্দিষ্ট কোনও কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা ছিল না। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কথা বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ই-কমার্স সংস্থাগুলি। অভিযোগ, পণ্য পৌঁছে দিতে গিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষের হাতে ডেলিভারি ম্যানদের হেনস্থা হতে হয়েছে। তারপর কর্মীদের হাইজিনের দিকে নজর দিয়ে নিজেরাও পরিষেবা সীমিত করে দেয় ই-কমার্স সংস্থাগুলি।
বুধবার কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশ কল সেন্টার ও সরকারি কাজকর্ম শুরু করা হবে। গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত স্তরের পরিষেবা মূলক কাজ সহ ই-কমার্স কোম্পানিগুলি পরিষেবা চালু করতে পারে। আইটি হার্ডওয়ারের ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্রয়োজনীয় টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়া সংস্থা কাজ শুরু করতে পারে।
Comments are closed.