সোমবারই মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, “এই তো আজকে অভিষেক এখানে এত ভালো বক্তৃতা করল। দেখুন কালকেই হয়তো কোনও সংস্থা ওকে নোটিস ধরাবে।” আর মমতা ব্যানার্জির সেই কথাই যেন হুবুহু মিলে গেল। মেয়ো রোডের সভার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কয়লা কাণ্ডে অভিষেক ব্যানার্জিকে নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২ সেপ্টেম্বর আগামী শুক্রবার সকাল ১১ টায় অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। ৫ সেপ্টেম্বর অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও তলব করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার মোতাবেক অভিষেককে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, তাঁর শ্যালিকাকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সোমবারের সমাবেশে অভিষেক ব্যানার্জিও বলেছিলেন, এতবড় সমাবেশ দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে। আপনারা লিখে রাখুন চার পাঁচ দিনের মধ্যে আবার কিছু একটা ঘটবে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেছিলেন, ২১ জুলাই আমাদের সমাবেশ হল। ২২ জুলাই ইডি পার্থ চ্যাটার্জির বাড়ি চলে গেল। কেন ২২ জুলাই কেন? ২৩ বা ২৪ জুলাই নয় কেন?
সোমবার ছাত্র সমাবেশের সভা থেকে কয়লা-গরু পাচার নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলে ছিলেন অভিষেক। তৃণমূল সাংসদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, কয়লা, গরু পাচারের টাকা দিল্লীতে পৌঁছায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদত ছাড়া পাচার সম্ভব না। অভিষেকের তোপ, এটা কয়লা বা গরু কেলেঙ্কারি নয়, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেলেঙ্কারি।
Comments are closed.