কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও সঞ্জীব ব্যানার্জিকে আচমকা বদলি করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বদলি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বদলি হয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জি। জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিভিন্ন হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতিকে বদলি করে অন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৯ জন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিকে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বদলি করা হয়েছে।
বছরে বেশ কয়েকবার বিচারপতিদের রুটিন বদলির নির্দেশিকা দেয় সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে মুম্বই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু আচমকা কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বদলি কেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আইনজীবী মহলে।
১৯৯০ সালে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর পেশাজীবন শুরু বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির। ২০০৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির এজলাসে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ ছিল করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গা পুজোয় জনসমাগম বন্ধ করা। অন্যদিকে নারদা মামলা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। ক্যালকাটা বয়েজ স্কুল এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করা জয়মাল্য বাগচির আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু ১৯৯১ সালে। সেই থেকে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে তসলিমা নাসরিনের লেখা বিতর্কিত বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই সহ একাধিক হাই- প্রোফাইল জনস্বার্থ মামলা। ২০১১ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হন।
গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিভিন্ন হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতিকে বদলি করে অন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৯ জন প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিকে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বদলি করা হয়েছে।
বছরে বেশ কয়েকবার বিচারপতিদের রুটিন বদলির নির্দেশিকা দেয় সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে মুম্বই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু আচমকা কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বদলি কেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আইনজীবী মহলে।
১৯৯০ সালে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর পেশাজীবন শুরু বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির। ২০০৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির এজলাসে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ ছিল করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গা পুজোয় জনসমাগম বন্ধ করা। অন্যদিকে নারদা মামলা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। ক্যালকাটা বয়েজ স্কুল এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করা জয়মাল্য বাগচির আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু ১৯৯১ সালে। সেই থেকে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে তসলিমা নাসরিনের লেখা বিতর্কিত বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই সহ একাধিক হাই- প্রোফাইল জনস্বার্থ মামলা। ২০১১ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হন।
Comments are closed.