বাংলার তরফ থেকে যা সমর্থন লাগবে আমরা দেব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কৃষক আন্দোলনের পাশে আছি। বুধবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে বৈঠকের পর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির।
দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী এবং কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট করার ভার মমতা ব্যানার্জিকে দেন টিকায়েত। মমতার বার্তা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলোকেও এক মঞ্চে আসতে হবে। কোনও একটা রাজ্যের সঙ্গে অন্যায় হলে বাকিদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা কমলে বিরোধী নেতৃত্ব দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনস্থলে হাজির হবেন। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালে মোদী বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ যে পুরদমে শুরু হয়ে গেল, বলাই বাহুল্য।
কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, সাত মাস ধরে দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছেন, সরকার পক্ষের কোন হেলদোল নেই। নবান্ন থেকে ফের ৩ বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে নতুন করে কৃষি আইন প্রণয়ন করতে হবে।
কৃষক নেতার সঙ্গে বৈঠকেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে দেশের কোভিড পরিস্থিতি। মোদী সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, একটা সরকারের শুধুমাত্র কয়েকটা ভুল পদক্ষেপের জন্য এত গুলো মানুষের জীবন চলে গেল।
বিধানসভা ভোটের আগে নন্দীগ্রাম ও রাজ্যের কিছু জায়গায় কৃষক আন্দোলনের সদস্যরা নো ভোট টু বিজেপি প্রচার চালিয়েছিলেন। এদিন রাকেশ টিকায়েত জানালেন, আগামী উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও নো ভোট টু বিজেপি প্রচার চালাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, অতীতে আমাদের দেশ উন্নত দেশগুলির তালিকায় নাম তোলার দৌড়ে ছিল। আর এই সাত বছরের বিজেপি শাসনে উন্নয়নশীল দেশগুলির নীচের দিকে ভারতের নাম।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাজপেয়ী জামানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা।
Comments are closed.