লকডাউন কেড়ে নিয়েছে লক্ষ মানুষের রোজগার। ৪০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ভারতের জিডিপি। অথচ বিত্তশালীদের ধন বৃদ্ধিতে ভাটা পড়ার ব্যাপার নেই। গত ছ’মাসে দেশে নতুন ১৫ জন বিলিওনিয়ার তৈরি হয়েছে, জানাচ্ছে ফোবর্স।
ফোর্বস এর ‘রিয়েল টাইম বিলিওনিয়ার’তালিকায় মোট ১১৭ জন ভারতীয়র নাম আছে। যাঁদের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ হাজার কোটি ডলার।
ভারতের বিলিওনিয়ারের সংখ্যাটা ২০২০ সালের মার্চে ছিল ১০২। করোনা কালে আরও ১৫ জন বিলিওনিয়ার বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক সংস্থা যখন কর্মী ছাঁটাই করেছে, বিনা পারিশ্রমিকে কর্মচারীদের ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে, বহু সংস্থা ও কারখানায় তালা পড়েছে তখন একের পর এক বিনিয়োগ করে গিয়েছেন মুকেশ আম্বানী। এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানী এখন বিশ্বের বিলিওনিয়ারদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। ১৮ সেপ্টেম্বরের হিসেব বলছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৮ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৮ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। ভারতে বিলিওনিয়ারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার শিব নাদার। ২ হাজার ৬০ কোটি ডলারের মালিক নাদার বিশ্বে ৬৪ নম্বরে। বিলিওনিয়ার তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আদানি গ্রুপের গৌতম আদানি। ৫৮ বছর বয়সী গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ ১৮.৭ বিলিয়ন ডলার। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে কোটাক মহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার উদয় কোটাক, পঞ্চম স্থানে ডিমার্টের কর্ণধার রাধাকৃষ্ণ দামানি ও তাঁর পরিবার। এই তালিকায় আছেন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্ণধার সাইরাস পুণাওয়ালার মতো ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় বিলিওনিয়ারদের এই তালিকায় সবচেয়ে নীচে ওয়েলস্প্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান বালকৃষ্ণ গোয়েঙ্কা। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার। তাঁর উপরে রয়েছেন রাধেশ্যাম আগরওয়াল, রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা, বিনি বনসল, মুরলীধর বিমল কুমার জ্ঞানচন্দানি প্রমুখ।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ যখন ক্ষুন্নিবৃত্তির যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তখন মুষ্টিমেয় কয়েকজনের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে যেন চৈত্র সেল। দেশে ক্রমেই বেড়ে চলা অসাম্যকে বিপজ্জনক লক্ষণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
Comments are closed.