ক্রমাগত ইউক্রেনের আরও ভেতরে ঢুকে আসছে রুশ বাহিনী। শহরের রাস্তায় যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক। আকাশে বোমারু বিমান। এদিক দাঁটা দাঁত চিপে পাল্টা রাশিয়াকে রুখতে মরিয়া ইউক্রেন। শনিবারও একটি ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি হুঙ্কার দিয়েছেন, তিনি রাজধানীতেই আছেন। এবং হামলাকারীদের রুখতে প্রস্তুত। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য সু-খবর। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স সহ আরও ২৮ টি দেশ ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়াল।
যুদ্ধের তৃতীয় দিনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইম্যানুয়েল মাকরঁ ঘোষণা করেছেন, আমেরিকা ব্রিটেন সহ আমাদের সহযোগী আরও ২৮ টি দেশ ইউক্রেনের পাশে আছে। ইতিমধ্যেই সে দেশে অস্ত্র পাঠানো শুরু হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো- বাইডেন প্রায় আধ ঘণ্টা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপরেই বিদেশ দফতরকে ইউক্রেনকে সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ডলার সামরিক সাহায্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে যুদ্ধের তৃতীয় দিনে দু’দেশের দাবি প্লাটা দাবির জেরে পরিস্থিতি আরও চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠেছে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের ৮২১ টি সেনা ঘাঁটি তারা ধ্বংস করেছে। ৭টি হেলিকপ্টার, ৮৭টি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি। ২৮টি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, ১১৮টি ইউক্রেন সেনার গাড়িও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। এদিকে প্লাটা ইউক্রেনের দাবি, তৃতীয় দিনে রাজধানী কিভ থেকে ৪০ কিমি দূরে ১০০ জন রুশ সেনা ও ১০০টি সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করেছে তাদের সেনা।
সব মিলিয়ে যুদ্ধের তৃতীয় দিনেই যেভাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
Comments are closed.