৩ মে লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই কিছু দোকান বাজার খোলার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার মধ্যরাতে কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘শপস অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টে রেজিস্টার্ড অত্যাবশ্যকীয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা যাবে। আবাসনের মধ্যে বা রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স, পাড়ার দোকানও খোলা রাখা যাবে। তবে, হটস্পট বা কনটেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে এবং মাল্টি ও সিঙ্গল ব্র্যান্ড শপিং মল বন্ধই থাকবে।
গত ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর ২০ তারিখ থেকে শিল্পের কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। বাজার সচল রাখতে শনিবার আরও কিছু ছাড় দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
কোন কোন দোকান খোলা?
শপস অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টে রেজিস্টার্ড সব দোকান খুলতে পারবে। এছাড়া রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স, মার্কেট কমপ্লেক্স, মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের আওতার বাইরের দোকানও খোলা রাখা যাবে শনিবার থেকে। তবে শর্ত হল, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতার বাইরে থাকা রেজিস্টার্ড দোকানে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ চালাতে হবে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। হটস্পটের বাইরে থাকা গ্রামীণ এলাকার সব দোকান বাজার খোলার অনুমতি দেওয়া হল শনিবার থেকে।
আর শহরাঞ্চলে শুধুমাত্র আবাসিক এলাকা অথবা একক দোকানে মিলবে নন-এসেনশিয়াল সামগ্রী এবং পরিষেবা। মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এবং মিউনিসিপালিটি এলাকায় থাকা মার্কেট কমপ্লেক্স খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কী কী বন্ধ?
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং মিউনিসিপ্যালিটির বাইরে থাকা মাল্টি ব্র্যান্ড ও সিঙ্গল ব্র্যান্ড শপিং মল বন্ধ থাকবে। এছাড়া মার্কেট কমপ্লেক্সের মাল্টি ব্র্যান্ড ও সিঙ্গল ব্র্যান্ড দোকান বন্ধ থাকবে।
সিনেমা হল, শপিং মল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, এন্টারটেনমেন্ট পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম এবং অ্যাসেম্বলি আগের মতো বন্ধ থাকছে।
যে কোনও বড় ও ব্র্যান্ডেড দোকান বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আমলা পি শ্রীবাস্তব বলেন, শুধুমাত্র প্রাত্যহিক জিনিসপত্র বিক্রি হয় এমন দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেলুন এবং পার্লার বন্ধ থাকবে। মদের দোকান খোলারও অনুমতি নেই।
এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও দিল্লি, অসমের মতো রাজ্যগুলি জানিয়েছে তারা দোকানপাট বন্ধই রাখবে। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি সরকার।
Comments are closed.