রামদেবের করোনার ওষুধ করোনিল নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তা বিনামূল্যে কোভিড রোগীদের মধ্যে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। সোমবার টুইট করে একথা জানিয়েছেন হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ।
অনিল ভিজ জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পতঞ্জলির ১ লক্ষ করোনিল কিট দেওয়া হবে করোনা সংক্রমিতদের হাতে। এজন্য অর্ধেক টাকা দেবে হরিয়ানা সরকার, অর্ধেক দেবে পতঞ্জলি।
हरियाणा में कोविड मरीजों के बीच एक लाख पतंजलि की कोरोनिल किट मुफ्त बांटी जाएंगी । कोरोनिल का आधा खर्च पतंजलि ने और आधा हरियाणा सरकार के कोविड राहत कोष ने वहन किया है।
— ANIL VIJ MINISTER HARYANA (@anilvijminister) May 24, 2021
এরপরেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পতঞ্জলির করোনিল কি করোনার ওষুধ? নাকি করোনা প্রতিষেধক? কোন যুক্তিতে মহামারির সময় এরকম বিতর্কিত ওষুধ মানুষের হাতে তুলে দেবে কোনও সরকার?
গত বছর রামদেব বাজারে আনেন পতঞ্জলির করোনিল। এরপরই ওই ওষুধ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পতঞ্জলির মালিক রামদেবের দাবি, এটাই করোনার প্রথম ওষুধ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (IMA) প্রশ্ন তোলে, কীভাবে অবৈজ্ঞানিক একটা ওষুধকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়! পাল্টা রামদেবের দাবি, করোনিলকে WHO সার্টিফিকেট দিয়েছে। WHO রামদেবের দাবি খারিজ করে দিয়েছে।
কেন্দ্র এই ওষুধ নিয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরেই তা বাজারে ছাড়া হয়েছিল বলে দাবি করেন যোগগুরু রামদেব। তাঁর সংস্থার ওষুধ ১৫০ টি দেশে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান রামদেব।
হরিয়ানার বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তে ভয়ঙ্কর বিপদ দেখছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ক’দিন আগেই অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্য করেও নিন্দার মুখে প্রত্যাহার করতে হয়েছে রামদেবকে। এবার কোনও সরকার যদি এরকম কোনও মানুষের ব্যবসায় বিপুল মুনাফা করিয়ে দিতে চায়, তাহলে মানুষের কথা ভাববে কে? বলছেন আইএমএ’র কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, আজ দেশের কাছে পরিষ্কার কার বরাভয়ে রামদেবের মত বিতর্কিত চরিত্র ওষুধ বিক্রি করে কোটিপতি হচ্ছেন। যা দেশে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে।
Comments are closed.