দেশে কোনওরকম জরুরি বা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরী হলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর থেকে আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় যেখানে সেনাবাহিনীর ছয় থেকে সাত মাস সময় লেগে যায় সেখানে মাত্র তিনদিনের মধ্যে আরএসএসের সদস্যদের প্রস্তুত করা সম্ভব। আরএসএসের কাছে সেনাবাহিনীর মতো সরঞ্জাম নেই ঠিকই কিন্তু সংকটের সময় দেশের স্বার্থে তাঁরাও আত্মবিসর্জন দিতে পিছুপা হবে না। কিছুদিন আগে সেনাবাহিনী সম্পর্কে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের এই ধরনের মন্তব্য দেশে যথেষ্টই বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। একটি অনৈতিক তুলনা টেনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সম্মানে আরএসএস প্রধান আঘাত হেনেছেন বলেও বিরোধীরা সরব হয়।
এবার সেই পথ ধরেই বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা তৈরিতে ঝুঁকলেন বাবা রামদেব। প্রাক্তন সেনাকর্তা, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের নিয়েই এই সংস্থাটি গড়ে তোলা হবে বলে পতঞ্জলি গোষ্ঠীর সিইও আচার্য বালাকৃষ্ণণ জানিয়েছেন। নিরাপত্তা সংস্থার ট্যাগ লাইন হবে ‘পরাক্রম সুরক্ষা আপকি রক্ষা’, অর্থাৎ বীরত্বেই একমাত্র আপনার নিরাপত্তা। দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশাত্মবোধক চিন্তাধারা বাড়িয়ে তোলাই এই বাহিনীর অন্যতম উদ্দেশ্য হবে বলে বাবা রামদেবের অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে সারা দেশে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি রিটেল ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে। গত আর্থিক বর্ষে পতঞ্জলি ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি রামদেব কর্তৃক দেশের বাজারে হোয়াটস অ্যাপের একচেটিয়া আধিপত্য কমাতেই নিয়ে আসা হল কিম্ভোর অ্যাপ। ডুডল, চ্যাটিং, গ্রুপ চ্যাটিং, ভিডিও কলসহ নানা ফিচার থাকবে এই অ্যাপে। ইতিমধ্যে ৫ হাজারের বেশি ইন্সটলেশন হয়েছে বলে পতঞ্জলির তরফে দাবি করা হয়েছে।