দেশে করোনা সংক্রমণ থেমে নেই, তবে সুস্থতার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার পরও করোনা-জয়ীদের নির্দিষ্ট কিছু প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, যেখানে মূলত দেশি আয়ুর্বেদিক টোটকার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সেরে ওঠা মানুষ নিয়মিত যোগাসন, সকাল কিংবা সন্ধ্যায় হাঁটাচলা-সহ হালকা শরীরচর্চা করবেন, এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উষ্ণ জল বা দুধের মধ্যে এক চা চামচ চবনপ্রাশ মিশিয়ে খেতে পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এছাড়া দুধ-হলুদ, অশ্বগন্ধা ও আমলকি খাওয়ার কথা বলা হয়েছে আয়ুশ মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায়। মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পরও অনেকেই দুর্বলতা, গায়ে ব্যথা, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগছেন। আয়ুশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সব সমস্যার মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে চবনপ্রাশ, দুধ-হলুদ।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সুস্থ হওয়ার পরেও করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য-বিধি মানতে হবে। অর্থাৎ, মাস্ক বা স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা জরুরি। সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণ উষ্ণ জল পান করতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম বা ঘুমের পাশাপাশি ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধেতে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। গরম দুধ, আদা, অশ্বগন্ধা, আয়ুশ কাথ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
এছাড়া কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষ যাতে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা আশপাশের সঙ্গে ভাগ করে নেন সে বিষয়ে সচেষ্ট হওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে। কমিউনিটি সার্ভিস ও সাইকোলজিক্যাল সার্ভিসে যাতে কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া মানুষও হাত লাগাতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। ঠিক যেভাবে বাংলায় ইতোমধ্যেই কোভিড ওয়ারিয়র ক্লাব কাজ শুরু করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কী করতে হবে তা নিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীরা যেন ৭ দিন পর ফের একবার হাসপাতালে চেক-আপ করাতে যান ও শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরা অসুবিধা বোধ করলে তাঁদের হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.