হটস্পটে ঢুকতে পারছেন না টেলিকম কর্মীরা, ভেঙে পড়ার মুখে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবস্থা, টেলিকম মন্ত্রককে চিঠি
করোনা মোকাবিলায় হটস্পট চিহ্নিত করে যুদ্ধে নেমেছে প্রশাসন। নির্দিষ্ট এলাকার ঢোকা-বেরোনোর পথ অবরুদ্ধ করে চলছে টেস্টিং, স্যানিটাইজেশন। এই রাজ্যেও চিহ্নিত হয়েছে এরকম কিছু স্পর্শকাতর এলাকা। এই অবস্থায় বিপদঘণ্টি আপনার মোবাইলে। স্থানীয় প্রশাসন হটস্পটগুলোতে ঢোকার পথে আটকে দিচ্ছে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী টেলিকম কর্মীদের। ফলে দেশজুড়ে কোভিড ১৯ হটস্পটগুলোতে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে চলেছে মোবাইল কানেক্টিভিটি। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে টেলিকম মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
গত ৯ এপ্রিল সেলুলার অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা COAI এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজেন ম্যাথুসকে উদ্ধৃত করে ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমস জানাচ্ছে, এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আবেদন করে টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, কোভিড ১৯ হটস্পটগুলোতে টেলিকম কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া না হলে দেশজুড়ে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। COAI এর পিছনে রয়েছে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়ার সমর্থন।
টেলিকম ক্ষেত্র জরুরি পরিষেবার অন্তর্গত। কিন্তু হটস্পট চিহ্নিত করে প্রশাসন যেভাবে কার্ফু পরিস্থিতি জারি করেছে, তাতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন জরুরি পরিষেবার অন্তর্গত টেলিকম কর্মীরা। এভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা সিস্টেম থমকে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। চিঠিতে এমনও দাবি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয় দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে। সেখানে অসংখ্য হটস্পটকে অবরুদ্ধ করে চলছে করোনা মোকাবিলা।
COAI এর চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রকের তরফ থেকে মহারাষ্ট্র পুলিশকে টেলিকম কর্মীদের ছাড় দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এই মহারাষ্ট্রেই।
Comments are closed.