Delhi Violence: সাম্প্রদায়িক হিংসার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি আইআইএসসির পড়ুয়া-শিক্ষকদের

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। যদিও এর চেয়ে মৃত্যু আরও বেশি হয়েছে বলে সন্দেহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাসিন্দাদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গালুরুর আইআইএসসির ৩০০-র বেশি পড়ুয়া, গবেষক ও ফ্যাকাল্টি মেম্বার একটি বিবৃতি দিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন দিল্লি-হিংসার। বিবৃতিতে লেখা হয়, দিল্লির মানুষের প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া নিন্দা করছি আমরা।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লির হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত হয়েছেন ২০০- র বেশি মানুষ। সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিজেপির কতিপয় নেতা-মন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যই এই হিংসার কারণ বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। মসজিদ ধ্বংস, মুসলিমদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে। অপরদিকে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ারও অভিযোগ উঠছে। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের ভূমিকা ও কার্যকারিতা নিয়ে। রাজধানীর এই অভূতপূর্ব হিংসার পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে বিবৃতি দিয়েছে দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএসসি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক দিন ধরে দিল্লির হিংসায় সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা ব্যথিত। যেভাবে দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম সম্পদায়ের মানুষকে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে, তা দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী। রাজধানী দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা দেখভালের বড় দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। কিন্তু ক’ দিন ধরে যেভাবে সাধারণ মানুষের জীবনহানি হয়েছে, সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে তাতে দেশের সরকারের ব্যর্থতাই প্রকট হয়ে উঠেছে বলে কটাক্ষ করা হয় বিবৃতিতে। তাতে দাবি করা হয়, অতি শীঘ্র স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী ভূমিকা নিক কেন্দ্রীয় সরকার।
আইআইএসসি-র পড়ুয়া-শিক্ষকদের দাবি, যারাই এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। দিল্লি-সহ অন্যান্য জায়গায় হিংসার কবলে পড়ে জখম মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা, যে পরিবারগুলি তাঁদের প্রিয়জন ও সম্পত্তি হারিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত দু’মাস ধরে নানা জায়গায় সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যে কোনও বিরোধীর গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের আছে আমাদের আবেদন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার যেন বজায় থাকে এবং যে বিভেদের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিতে উদ্যোগ নিন।

Comments are closed.