দেশ বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধির প্রধান কারণ ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্ত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

দেশ বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্ত, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দেশে বাড়ছে ভুয়ো খবর। দেশ বিরোধী কার্যকলাপ, অসামাজিক কাজকর্ম এবং হিংসাত্মক বক্তব্য পেশ করার ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি ২৭ পাতার এফিডেভিট দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে আরও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যায়, সে বিষয়ে চূড়ান্ত নিয়ম-কানুন তৈরি করা হবে। জমা দেওয়া হলফনামায় সরকারের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ইন্টারনেটের বাড়বাড়ন্ত দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই কেন্দ্র মনে করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ দরকার এবং তার জন্য নয়া নীতি তৈরি হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্র মনে করে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের ব্যক্তি অধিকারে হস্তক্ষেপ না করেও এই ধরনের নিয়ম-কানুন তৈরি করা সম্ভব।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চেয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে সরকার নির্দিষ্টভাবে কোনও গাইড লাইনের কথা চিন্তা-ভাবনা করছে কিনা। তার উত্তরে এদিন আদালতে এই হলফনামা জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। এই হলফনামায় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কিছু কারণবশত এই সংক্রান্ত নিয়মগুলি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে গোটা বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে একটি ড্রাফট তৈরি করা হয়েছে। এই সম্পর্কিত ড্রাফটটি ওয়েবসাইটেও দেওয়া রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

Comments are closed.